আমি হিন্দু, অন্যায় দেখলে মুখ বন্ধ রাখি না: জ্যোতিকা জ্যোতি

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:২২

জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবি:সংগৃহীত
সামাজিক হেনস্তার শিকার হচ্ছেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে অভিনেত্রী নিজেই এটি জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর ‘আলো আসবেই’ নামের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপের চ্যাট ফাঁস হয়। যে গ্রুপে যুক্ত ছিলেন জ্যোতিসহ দেশের নামকরা কয়েকজন তারকা।
হাসিনার পতনে ওই গ্রুপে থাকা শিল্পীরা সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়ছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের নিয়ে নানা রকম মন্তব্য দেখা যায়। তবে এটি নিয়ে জ্যোতি একদম
নীরব ছিলেন।
অবশেষে গতকাল এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলার জন্য তিনি ফেসবুক লাইভে
আসেন। জ্যোতি বলেন, ‘এতদিন
কথা বলিনি। কিন্তু আর চুপ থাকতে পারলাম না। কারণ, আমাকেসহ ওই গ্রুপের সবাইকে সামাজিক কাঠগড়ায় দাঁড় করানো
হয়েছে। এতে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপনই করতে পারছি না। বলতে পারেন সামাজিক হেনস্তার
শিকার হচ্ছি। তাই একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসেবে আমি আমার জায়গাটি পরিষ্কার করতে
ফেসবুক লাইভে এসেছি।’
জ্যোতি আরও বলেন, যারা ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে ছিলেন তাদেরকে আপনারা দুটি তকমা দিয়ে কথা বলছেন। একটি হলো স্বৈরাচারের দোসর, আরেকটি হলো গণহত্যার ইন্ধনদাতা! এই দুটি কথার মানে কি আপনারা জানেন? আমরা কি করেছি যে এ ধরনের কথা শুনতে হবে?
অভিনেত্রী,
এ অপবাদ আর কাঁধে নিতে চান না জানান। তিনি বলেন, ‘আমি যে এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম তার কোনো প্রমাণ
আপনাদের কাছে আছে? না
থাকলে এসব কথা কেন বলছেন?
আপনারা কি জানেন, এই
ধরনের অপবাদ মানুষের ওপর কি ধরনের প্রভাব ফেলে? আমি আর সহ্য করতে না পেরে আজ কথাগুলো বলছি।’
জ্যোতির ভাষ্য ‘একে তো আমি নারী, আজকাল দেশে
নারীদের কোনো সম্মান নেই। তার ওপর আমি অভিনেত্রী, তাতে তো আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলা আরও সহজ! সেই সাঙ্গে আমি
হিন্দু, অন্যায়
দেখলে মুখ বন্ধ রাখি না- এসব কিছুতেই তো আপনাদের সমস্যা। এজন্য আমি নানা ধরনের
চাপের মধ্যে আছি। কিন্তু যে কাজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততাই নেই তার জন্য দয়া
করে আমাকে অপবাদ দিয়ে মানসিক চাপ সৃষ্টি করবেন না। এটুকু অনুরোধ থাকল সবার
প্রতি।’
এদিকে জ্যোতির চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নিয়োগ বাতিল করল অন্তর্বর্তী সরকার। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নিলুফার ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় বিষয়টি।
এর আগে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ১৭ সেপ্টেম্বর
দুপুরে কর্মস্থলে যান জ্যোতি। সে সময় শিল্পকলার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
তোপের মুখে অফিস ছেড়ে চলে আসতে হয় তাকে।