
নিপুণ। ছবি: সংগৃহীত
২০০৬ সালে চলচ্চিত্রে আসেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। ২০০৮ সালে
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বদলে যায় তার জীবন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের ছত্রছায়ায় একের পর এক সিনেমায়
চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করেন তিনি। ঘরে তুলে নেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।
শুধু তাই নয়, শেখ সেলিম ও আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে চলচ্চিত্র
শিল্পী সমিতিতে নিজের প্রভাব বিস্তার করেন তিনি। এমনকি সেই জোরেই শিল্পী সমিতির সাধারণ
সম্পাদকের চেয়ার দখল করেন নায়িকা। কাউকে তোয়াক্কা না করে তার একক সিদ্ধান্তেই চলত সমিতি। চলচ্চিত্রের মানুষজন বিরক্ত ও ভেতরে ভেতরে ফুঁসে উঠলেও নিপুণের বিরুদ্ধে কিছু
বলার কিংবা করার সাহস করেননি কেউ।
সিনেমার পর ২০১২ সালে তিনি বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় শুরু করেন নিজস্ব পার্লার। সেই প্রতিষ্ঠানেও অনৈতিক কাজ হতো বলেও অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, শেখ সেলিমের গল্পে সিনেমা নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন নায়িকা। যদিও পরবর্তীতে সেটি হয়নি। চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হতেও। দলটির বিভিন্ন প্রচারণামূলক কাজে নিয়মিত পাওয়া যেত নিপুণকে।
এদিকে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক তারকার মতোই আত্মগোপনে আছেন নিপুণ। ধারণা করা হচ্ছে জুলাইয়ের শেষ দিকেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ‘সমালোচিত’ এ নায়িকা।
নিপুণের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, আপাতত নিপুণের দেশে ফেরার পরিকল্পনা নেই। কারণ দেশে ফিরলে তোপের মুখে পড়তে পারেন তিনি।
তিনি এও জানান, নিপুণ এখন আমেরিকায় তার মেয়ের কাছে আছেন।
তবে সেখানেও খুব একটা বের হচ্ছেন না তিনি। সেখানকার বাঙালি কমিউনিটির ক্ষোভের মুখেও রয়েছেন তিনি।
এর আগে ২০০৪ নিপুণ পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে থাকা অবস্থাতেই বিয়ে করেন তিনি। যদিও সেই বিয়ে টেকেনি বেশিদিন। তবে সেই ঘরে তানিশা হোসেন নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২১ বছর বয়সী মেয়ে তানিশার সঙ্গেই এখন থাকছেন নিপুণ।