
আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল। ছবি: সংগৃহীত
বাংলা চলচ্চিত্রের মেগাস্টার আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল। অভিনয়ের বাইরে তিনি পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও প্রশাংসা কুড়ান। এ অভিনেতা চলচ্চিত্রের বিভিন্ন সমিতির নেতৃত্বেও ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত তিনি।
চলতি বছরের ৫ আগষ্ট সাবেক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এফডিসিসহ সাংস্কৃতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে
তাকে দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে উজ্জ্বল বলেন, ‘আমাকে সভা সমাবেশ কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হঠাৎ দেখা যাচ্ছে বিষয়টি এমন নয়। বিএনপির রাজনীতিতেও আমি নতুন নই। ছোটবেলা থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে আমি জড়িত। বিএনপির রাজনীতিতে আমি অতিথি নই। একজন একনিষ্ঠ কর্মী। নানা কৌশলে সব সময় এ দলের সঙ্গে আমি ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’
শিল্পীদের দল থাকতে নেই। এমন প্রবাদ আমরা শুনে আসছি। কিন্তু বিগত এক দশক বা তারও অধিক সময় যে দলাদলি আর রাজনৈতিক বৈষম্য দেখা গেছে সেটি কি আপনি লক্ষ করেছেন। এর ফল কি ভালো হয়েছে?
এ প্রশ্নে উজ্জ্বল বলেন, শিল্পীদের দল থাকতে নেই। এ প্রবাদ নিয়ে আমার দুটি কথা আছে। শিল্পীদের অবশ্যই দল থাকবে। আপনিও হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন প্রতিটি দলের সাংস্কৃতিক একটি সংগঠন থাকে। আমার দলেও একটি ভ্রাতৃপতিম সংগঠন আছেন। আমি সেটির সাধারণ সম্পাদক। কথা হচ্ছে আমি দল বা রাজনীতি করবো সেটি রাজনীতির মাঠে। কর্মস্থলে নয়। আপনি আওয়ামী লীগ করেন ঠিক আছে সেটি আপনি গুলিস্তানে গিয়ে করেন। আমি বিএনপি করি ঠিক আছে আমি সেটি পল্টনে গিয়ে করবো। রাজনীতির মাঠেই রাজনীতি এফডিসি তো রাজনীতির জায়গা না। যারা রাজনীতির নামে বৈষম্য এফডিসিতে এনেছে তারা আজ কোথায়? কেউ কেউ তো শুনছি আত্মগোপনে আছে। কেউ কেউ তো শুনছি দেশের বাইরে চলে গেছে। তারা যদি ভালো রাজনীতি করতো তবে কেন পালিয়ে গেলো কেন আত্মগোপনে থাকতো হচ্ছে?