মৃত্যর আগে সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে যে কথা বলেন রাজীব

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:১২

ওয়াসীমুল বারী রাজীব। ছবি: সংগৃহীত
‘সবাই কাজকর্মে অনেক ব্যস্ত থাকে। সবাই আমাকে দেখতে আসতে হবে এমন কোনো কথা নয়, দূর থেকে তোমরা আমার জন্য দোয়া কইরো’-মৃত্যুর আগে ঠিক এভাবে কথাগুলো বললেন প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা রাজীব। অভিনেতার অসূস্থতার সময় একদিন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন তাকে দেখতে যান। সে সময় তিনি রাজীব আরও বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন চলচ্চিত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আপনাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ করেছি। কাজের সময়ে আপনাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকতে পারি। এটা থেকে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন তাহলে আমাকে মাফ করে দেবেন। আর আমার জন্য সবাই আল্লাহর কাছ দোয়া করবেন। যাতে আমি পরকালে সিফা লাভ করতে পারি, শান্তিতে থাকতে পারি। আমি আপনাদের সবার জন্য দোয়া করি আল্লাহ আপনাদের যেন সুখে-শান্তিতে রাখেন।’ আজ এই অভিনেতাকে হারানোর দুই দশক পূর্ন হলো। ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ৫২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান তিনিরাজীবের আসল নাম ওয়াসীমুল বারী রাজীব। ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন অভিনেতা। সিনেমায় অভিনয় শুরুর আগে তিতাস গ্যাস কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। ১৯৮১ সালে ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় তার। এরপর কাজী হায়াতের ‘খোকন সোনা’ সিনেমার মাধ্যমে তারকাখ্যাতি পান রাজিব। বিএফডিসির ব্যবস্থাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
রাজীব অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘উছিলা,
মিয়া ভাই’,
‘সত্য মিথ্যা’,
‘বীরাঙ্গনা সখিনা’, ‘হুমকি’,
‘মা মাটি দেশ’,
‘প্রেম প্রতিজ্ঞা’, ‘দাঙ্গা’,
‘ত্রাস’,
‘দুর্নীতিবাজ’,
‘প্রেম দিওয়ানা’,
‘টাকার অহংকার’,
‘মৃত্যুদণ্ড’,
‘বন্ধন’,
‘চাঁদাবাজ’,
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘মীরজাফর’,
‘মিথ্যার রাজা’,
‘বেনাম বাদশা’,
‘আখেরি রাস্তা’,
‘বিদ্রোহী কন্যা’, ‘ক্ষমা’,
‘জবরদখল’,
‘প্রিয় তুমি’,
‘বিক্ষোভ’,
‘খলনায়ক’,
‘দেশদ্রোহী’,
‘লুটতরাজ’,
‘ভণ্ড’,
‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘ভাত দে’,
‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’,
‘মগের মুল্লুক’ ও
‘স্বপ্নের বাসর’ প্রভৃতি।
প্রায় দুই শতাধিক বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই খলনায়ক।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতা বিভাগে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রাজীব। সিনেমাগুলো
হল- ‘হীরামতি’
(১৯৮৮), ‘দাঙ্গা’ (১৯৯১), ‘বিদ্রোহ চারিদিকে’
(২০০০) ও ‘সাহসী মানুষ চাই’ (২০০৩)।