
অভিনেত্রী স্বর্ণলতা
‘সারা দিন শুটিং ছিল ঢাকার বাইরে। মাত্র শেষ করলাম, গাড়িতে উঠে কল করলাম।’ মানিকগঞ্জ থেকে নাটকের শুটিং শেষে ফেরার পথে এভাবেই আলাপচারিতা শুরু করলেন চলতি সময়ের ব্যস্ত অভিনেত্রী স্বর্ণলতা। একসঙ্গে চারটি ধারাবাহিকের শুটিং করছেন তিনি। মাঝে করছেন একক নাটকের কাজ। চলছে উপস্থাপনা। দম ফেলার যেন ফুরসত নেই এই অভিনেত্রীর।
অভিনয়ে চাপ হচ্ছে কি না জানতে চাইলে স্বর্ণলতার উত্তর, ‘আগে আরো বেশি কাজ করতাম। এখন সে তুলনায় কাজের চাপ কম। অভিনয় কঠিন। কিন্তু দীর্ঘদিন একটি চরিত্রে বাস করলে অভিনয় সহজ হয়ে যায়। আমি চেষ্টা করি ধারাবাহিকের কাজ টানা করতে। তখন আর কঠিন বিষয়টি থাকে না।’
জানা গেছে, এরই মাঝে রাশেদ সীমান্ত ও জাহের আলভীর বিপরীতে দুটি একক নাটকের কাজ শেষ করেছেন তিনি। শিগগিরই দুটি নাটক প্রচারে আসবে। স্বর্ণলতা অভিনীত চারটি ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে। দীপ্ত টিভিতে ‘রূপনগর’, মাছরাঙায় ‘তেল ছাড়া পরোটা’, বৈশাখী টেলিভিশনে ‘ভাল্লাগে না’ ও বাংলাভিশনে ‘মাথা গরম ফ্যামিলি’ প্রচারিত হচ্ছে।
কাজগুলো নিয়ে স্বর্ণলতার ভাষ্য, “প্রতিটি ধারাবাহিক নিয়েই দর্শকের ভালো সাড়া পাচ্ছি। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে মতামত দিচ্ছেন। সবচেয়ে ভালো সাড়া পাচ্ছি ‘রূপনগর’ ও ‘মাথা গরম ফ্যামিলি’Ñএই দুটি ধারাবাহিকের জন্য।”
স্বর্ণলতার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে। এরপর অভিনয়ে থিতু হয়েছেন। ইদানীং ফের উপস্থাপনা করছেন। সম্প্রতি ইউরোপের বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সে উপস্থাপনা করেছেন তিনি। আসছে ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ায় এনটিভির বিজয় উৎসব উপস্থাপনা করবেন বলে জানান।
টেলিভিশন নাটকের স্বর্ণলতাকে ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ও সিনেমায় কবে দেখা যাবে প্রশ্ন করতেই তার সহাস্য উত্তর, ‘আমি আসলে ওটিটি ও সিনেমা নিয়ে আলাদা করে ভাবছি না। আমাকে নিয়ে যদি কোনো নির্মাতা ভাবেন, গল্পে চরিত্রের গুরুত্ব থাকে, তাহলে কাজ করতে পারি। অর্থাৎ অভিনয় করার জায়গা থাকলে রাজি হব।’
শোবিজের বাইরে সমাজসেবার সঙ্গেও যুক্ত আছেন স্বর্ণলতা। গেল কয়েক বছর ধরে তার ‘সম্পূর্ণা বাংলাদেশ’ শীর্ষক সংগঠনটি কাজ করছে সুযোগ বঞ্চিত নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে। প্রতি বছর সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখা নারীদের পুরস্কৃত করছে। এ প্রসঙ্গে স্বর্ণলতা বললেন, “আমাদের ‘সম্পূর্ণা’ শীর্ষক একটি শো রুম আছে। যেসব নারী উদ্যোক্তা তাদের পণ্য বিক্রির পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছেন না, সেগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করছি এর মাধ্যমে। নিয়মিত সম্মাননা দিচ্ছি সমাজের প্রতিটি সেক্টরে অবদান রাখা নারীদের। সামনের বছর আরো বড় পরিসরে পুরস্কার দেওয়ার ইচ্ছা আছে।”