নাজিয়া হক অর্ষা। এ সময়ের ব্যস্ত অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। সম্প্রতি তার অভিনীত সাহস ছবিটি সেন্সর বোর্ড নিষিদ্ধ করেছে।  

এ প্রসঙ্গে ও অন্য আরো বিষয়ে কথা বলেছেন মাহমুদ সালেহীন খানের সাথে।  

কেমন আছেন ও ঈদ কিভাবে কাটালেন?

করোনাকালীন দুঃশ্চিন্তা শুধু বাড়ছে। প্রতিদিন পরিচিত মানুষদের দুঃসংবাদ দিয়ে সকাল শুরু হয়। লকডাউনে বাসায় আছি। সাধারণ দিনগুলোর মতোই কেটেছে এবারের ঈদ। 

এবারের ঈদে ছোটপর্দায় আপনার উপস্থিতি কম কেন?

মানুষ ভালো নেই। নিজেকে একটু দূরে রেখেছি ঈদের কাজ থেকে। বলতে পারেন একরকম নিরাপত্তার কারণেই স্বেচ্ছায় নিজেকে নিারপদে রাখতে হয়েছে। দুই ঈদেই কম কাজ করেছি। পুরনো কিছু কাজ প্রচার হলো। ঈদের আগে ‘বৌ ডায়েরিজ’ প্রচার হয়েছে। 

বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে একই কনটেন্টের আধিক্য দেখা যায়। এতে করে দর্শক বিব্রত হচ্ছে কি?  

আমাদের এত কনটেন্ট প্রয়োজন নেই। বেশি কাজ হলে মান পড়ে যাবে। মাসে একটি নতুন কনটেন্ট হলে দর্শক তা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকবে। প্রায় সব প্লাটফর্মই ঘুরে ফিরে একই শিল্পীকে নিয়ে কাজ করছে। এতে করে দর্শকের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। তাছাড়া একটি মানসম্পন্ন কাজ করতে সময় প্রয়োজন। সময় নিয়ে ভালো কাজ করলে দর্শক মানসম্পন্ন কাজের জন্য অপেক্ষা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। 

আপনার অভিনীত সিনেমা ‘সাহস’ নিষিদ্ধ হয়েছে। প্রতিক্রিয়া কি ? 

সেন্সর বোর্ডে যারা আছেন, তাদের আরো আধুনিক হতে হবে। শিল্প সংস্কৃতিতে সেন্সরশিপ থাকাই তো উচিত নয়। কোন বয়সের দর্শক কনটেন্টটি দেখতে পারবে সে বিষয়ে রেটিং থাকতে পারে। তাই বলে, একটি ছবি নিষিদ্ধ করে দিতে পারেন না। বাগেরহাটের একটি স্থানীয় অঞ্চলের ১৮-২০ বছরের ছেলেরা চাঁদাবাজি, জমি দখল, ধর্ষণ ইত্যাদি অপকর্মে যুক্ত থাকে। মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারে না। ‘সাহস’ সিনেমায় এসব বিষয় উঠে এসেছে। কিছু শব্দ কোনো অঞ্চলের জন্য গালি হলেও অন্য অঞ্চলের ভাষা। আমরা যে অঞ্চলের গল্প বলছি সেখানে যে শব্দ গালি হিসেবে ধরছি সেসব শব্দ তাদের বুলি। যারা সেন্সর বোর্ডে আছেন তাদের এসব বিষয়ে ধারণা রাখাও প্রয়োজন। ছবিতে কোনো রক্তপাত দেখানো হয়নি।  অথচ বলা হচ্ছে ছবিতে অরাজকতা, সহিংসতা আছে। সিনেমার নাম যেখানে ‘সাহস’, তার মুখোমুখি হওয়ার সাহস সেন্সর বোর্ডের থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।

অন্য ছবিগুলোর কি অবস্থা ?

নূর ইমরান মিঠুর ‘পাতালঘর’ সেপ্টেম্বরে মুক্তির পরিকল্পনা আছে। হৃদি হকের ‘১৯৭১ সেই সব দিন’-এর দৃশ্যধারণ এখনো শেষ হয়নি।