
শারমিন আঁখি
‘কাজ করতে করতে বছর পার হয়ে গেল,’ বলছিলেন চলতি সময়ের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। গত মাস থেকে আছেন খুলনার পাইকগাছায়। করছেন নতুন ছবির শুটিং। সেখান থেকেই জানালেন ব্যস্ততার কথা। নতুন বছরে বন্ধুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময়ও মেলেনি তাঁর।
নতুন ছবির কাজ শুরু করেছেন। ‘কোনো এককালে’ ছবিতে নিজের চরিত্র কেমন তার আভাস দিয়েছেন শারমিন আঁখি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি স্থিরচিত্র ছেড়েছেন। যেখানে সিঁথিতে সিঁদুর দেখা গেছে আঁখির।
ছবিতে তার চরিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ছবিতে আমি হিন্দু পরিবারের একজন বৌয়ের চরিত্রে অভিনয় করছি। যেখানে শুটিং করছি তার আশপাশে বেশ কয়েকটি হিন্দু পরিবার বসবাস করেন। তারা আমার অভিনয় দেখে প্রশংসা করেছেন। তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ঠিকমতো ফুটিয়ে তুলতে পারছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন সংগ্রামী নারীর চরিত্রে রূপদান করছি। যে কি-না গ্রামের অর্ন্তকোন্দলের জন্য নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সংগ্রাম করে চলেন। দারুণ একটি চরিত্র। এর বেশি আপাতত বলা বারণ।’
‘কোনো এককালে’ পরিচালনা করছেন তালাত আহমেদ। কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন- তালাত আহমেদ ও উত্তম কুমার। এ ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন- আতিক রহমান, আজিজুল হাকিম, ফরিদা ছন্দা, লারা লোটাস প্রমুখ।
সিনেমার শুটিং শুরু হবার আগে আঁখি রান্নাবিষয়ক একটি রিয়েলিটি শোর শুটিং শেষ করেছেন। প্রচারের অপেক্ষায় থাকা এ শোতে উপস্থাপনা প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘আগে কখনো শো সঞ্চালনা করিনি। ব্যতিক্রমধর্মী এ শো করে রান্নার ছোট ছোট টিপস জেনেছি। নানা পদের রান্নার সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
নিজেকে ভাঙতে পছন্দ করেন শারমিন আঁখি। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে গেল বছর তাঁর কিছু ছবি আলোচনায় আসে।
সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ের জন্য ফটোশুটের সময় পাওয়া যায় না। করোনাকালে অনেকদিন বাসায় ছিলাম। সে সময়ে অনেক ফটোশুট করি।’
শারমিন আঁখিকে সর্বশেষ দেখা গেছে শঙ্খ দাসগুপ্তর ‘বলি’ ওয়েব সিরিজে। এ সিরিজে একজন খোঁড়া নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এ সিরিজটির জন্য প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তিনি। এর আগে অভিনয় করেন ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’, আরিক আনাম খানের ‘ট্রানজিট’ ও নোমান রবিনের ‘এ কোয়ার্টার মাইল কান্ট্রি’ ছবিতে।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত অরিজিত মুখার্জি পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘শেডো’ তে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন। এ ছাড়া আফজাল হোসেন মুন্নার ‘শেভুলুশন’ তার উল্লেখযোগ্য কাজ।
ক্যারিয়ারের শুরুতে নার্গিস আক্তারের ‘ভালোবাসা কি করে ভালো হয়’ আঁখিকে পরিচিতি এনে দেয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে তিনি কাজ শুরু করেন। টেলিভিশনের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে- দেবাশিষ বড়ুয়া দ্বীপের ‘ঘটক বাকি ভাই’, ‘চার কন্যা’, আশাপূর্ণা দেবীর বালুচুর উপন্যাস অবলম্বনে ‘অপরাজিতা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পে ‘মধ্যবর্তিনী’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় ‘রৌদ্র ছায়ার খেলা’, বাশার জর্জিজের পরিচালনায় ‘গ্রামের নাম সুবর্ণপুর’, সালাহউদ্দিন লাভলুর নির্মাণে ‘মাই নেম ইজ ব্যাড’ ইত্যাদি।
নিজেকে মূল্যায়ন করতে বললে তার সহাস্য উত্তর, ‘এ সময়ে এসে মনে হয়, অভিনয়ে আমি দশ বছরের শিশুমাত্র।’