ওমর সানী ও জায়েদ খান ইস্যুতে ভক্তদের মনে আশঙ্কা যে, সানী-মৌসুমীর দীর্ঘ ২৬ বছরের সংসার জীবনে কী চিড় ধরেছে! সেই আশঙ্কা আরো বেশি পোক্ত হয়েছে মৌসুমীর একটি অডিও বক্তব্যে।
জায়েদ খান ও ওমর সানীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব-লড়াই ইস্যুতে ওই বিবৃতি দিয়েছেন নায়িকা।
মৌসুমী বলেন, ‘কেন এই প্রশ্নটা বারবার আসছে, সে (জায়েদ খান) আমাকে বিরক্ত করছে-উত্ত্যক্ত করছে, এই জিনিসটা আমার আসলে... জানি না এটা কেন হচ্ছে। এটা যদিও একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। সে সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবেই সমাধান করা দরকার ছিল।’

জায়েদ খানকে ‘ভালো ছেলে’ আখ্যা দিয়ে মৌসুমী আরো বলেন, ‘আমাকে ছোট করার মধ্যে, যাকে আমরা অনেক শ্রদ্ধা করে আসছি সেই ওমর সানী ভাই, তিনি কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন- সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমার সঙ্গে সমাধান করবে, সেটিই আমি আশা করি।’
এদিকে মৌসুমীর অডিও বক্তব্য শুনেছেন জানিয়ে এ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন ওমর সানী।

তিনি বলেন, ‘আমি জায়েদ খান সম্পর্কে যে কথাগুলো বলেছি সেখানে অটল আছি। জায়েদ খান সম্পর্কে পুরো ইন্ডাস্ট্রি যা জানে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনারাও ভালো করে জানেন। ইন্ডাস্ট্রি, ইন্ডাস্ট্রির মানুষগুলো এটার উত্তর দেবে। আমি মৌসুমীকে বাজে কোনো কথা বলব না। সে আমার স্ত্রী। সে একজন গর্জিয়াস নারী। কোনো কারণেই তাকে আমি ব্লেইম দেবো না। সে কী ভেবে কী কারণে কথাগুলো (অডিওবার্তা) বলেছে এটা একমাত্র সে আর তার আল্লাহ জানে।’
ওমর সানী ভাষ্য, ‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমার ছেলে বড় হয়েছে। তার একটি স্ত্রী আছে। আমরা পাঁচজনের সংসার। সমস্ত কিছু, জায়েদ খানের গাড়ির বিষয়ে আমাদের কাছে বেশ ভালো প্রমাণ আছে। সেটা আমরা চাচ্ছিলাম বলতে। সব পরিবারেই দাম্পত্য কলহ অল্পস্বল্প থাকে। আমরা চাচ্ছিলাম নিজেরা নিজেরা এটা মিট করতে। সেদিন এটা এত এক্সট্রিমলি চলে গিয়েছিল আমি আউটবাস্ট হয়ে গিয়েছিলাম।’

সবশেষ এই নায়ক বলেন, ‘আমি মৌসুমীর প্রতি সম্মান জানাই। আমার ছেলে-মেয়ে বাকি কথাগুলো বলবে, এটার সত্যতা কতটুকু।’