
সাবরিনা সুলতানা কেয়া। ছবি: সংগৃহীত
শোবিজ অঙ্গনের একসময়ের ব্যস্ততম চিত্রনায়িকা ছিলেন সাবরিনা সুলতানা কেয়া। ২০০১ সালে ‘কঠিন বাস্তব’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় পা রাখেন তিনি। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন এ নায়িকা। তবে ক্যারিয়ারের মাঝপথে আড়ালে চলে যেতে হয় তাকে।
এরপর ২০১৫ সালে ‘ব্ল্যাক মানি’ সিনেমার মাধ্যমে ফিরেন তিনি। মান্না, আমিন খান, রিয়াজ, শাকিব খানসহ জনপ্রিয় প্রায় সব নায়কের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি।
এরমধ্যে এ নায়িকাকে ঘিরে বেশকিছু ফেসবুক পেজ, ইউটিউব এবং অনলাইন পোর্টালে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন তিনি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থাও নিচ্ছেন এ নায়িকা।
সাম্প্রতিক দেশকালকে তিনি বলেন, ‘আমি যা করিনি, কিংবা আমার
সঙ্গে যা হয়নি সেটির দায়ভার আমি কেন নেব? আমি প্রয়োজনে মামলা করতেও প্রস্তুত আছি। তবু
মিথ্যা কোনো অপবাদের দায়ভার নিতে চাই না।’
কেয়া তার নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে ফেসবুকে একটি
পোস্টও করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অঙ্গনে আমার দীর্ঘ ২৪ বছরের অভিনয় জীবন। এই সুদীর্ঘ পথ চলায় আমি কখনো কাউকে অশ্রদ্ধা করিনি, অহংকার করিনি, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করিনি।
সবাইকে যথোপযুক্ত সম্মান দিয়ে পথ চলেছি এবং অভিনয় ও পরিবার নিয়েই জীবনের ব্যস্ত সময় পার করেছি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা গুজব ও রটনার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় নানা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন্নসহ আমাকে হেয়-প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। আমার অগণিত ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী আমার এই খারাপ সময়ে পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন, যার জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
আত্মবিশ্বাসের সুরে কেয়া আরো লেখেন, ‘আমি ভেঙে পড়িনি, সিদ্ধান্ত নিই প্রতিবাদ করার। যার ফলশ্রুতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করি।
কিছু কিছু মিডিয়াও এই সব অপপ্রচার বুঝতে পেরে তাদের অনলাইন পোর্টাল ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে আমার বিরুদ্ধে মানহানিকর অপসংবাদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ এবং সত্য সাংবাদিকতাকে সাধুবাদ জানাই।’