পিবিআই কর্মকর্তা সেজে প্রতারণার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫৯
-63b81b9009d99.jpg)
আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিক। ছবি: ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে পিবিআই কর্মকর্তা সেজে প্রতারণার অভিযোগে আব্দুল কাইয়ুম ওরফে অনিক নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ।
আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অনিক উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২ জানুয়ারি জেলার ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলার সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. আব্দুর রাশেদ ওরফে রাশিদুল ইসলাম রাশিদের (৩০) নম্বরে ফোন করেন অনিক। ফোন করে নিজেকে পিবিআই পুলিশের উপ-পরিদর্শক ফারদিন আহমেদ পরিচয় দেন। পরিচয় দিয়ে জানান, তোমার (রাশিদ) নামে পিবিআইয়ে মামলা হয়েছে তুমি আমাদের নগদ/বিকাশ নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পাঠাও, মামলাটি আমরা এখন শেষ করে দিব। একই সাথে রাশিদের কাছে ইমো নম্বর চান মামলার কপি দিবে বলে। ইমো নম্বর দিলে পুলিশের মনোগ্রাম যুক্ত একটি ভুয়া প্রাথমিক তথ্য বিবরণীর কপি প্রেরণ করেন।
ওই কপিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কলামে উপ-পরিদর্শক ফারদিন আহমেদের নাম লেখা ছিল। পরদিন ৩ জানুয়ারি সকালে আবারো ফারদিন আহমেদ পরিচয়ে টাকা পাঠানোর জন্য রাশিদের কাছে ফোন করেন এবং টাকা না পাঠালে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ পিবিআই পুলিশের কার্যালয়ে তুলে আনার হুমকি দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, রাশিদ বিষয়টি নিয়ে তার পরিচিতদের সাথে পরামর্শ করে ময়মনসিংহ পিবিআই কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। পরে ময়মনসিংহ কার্যালয় থেকে রাশিদকে জানানো হয় ফারদিন আহমেদ নামে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এখানে কর্মরত নেই। তখন রাশিদুল ইসলাম জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে পিবিআই উপ-পরিদর্শক (এসআই) অমিতাভ দাস তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে অনিককে গ্রেপ্তার করেন।
এবিষয়ে জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার মো. রকিবুল আক্তার বলেন, এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অভিযান চালিয়ে অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।