কনকনে ঠান্ডায় চরম দুর্ভোগে কুড়িগ্রামবাসী

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৩৬

কুড়িগ্রামে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বাড়ছে কনকনে ঠান্ডা। ছবি: কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। আজ রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম কৃষি আবাহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র।
এদিন দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে নেমে আসছে কনকনে ঠান্ডা। উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার কারণে বাড়ছে ঠান্ডা।
প্রচণ্ড শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষের। জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেকেই বাধ্য হয়ে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই বের হচ্ছেন কাজে। গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে ভুগছেন ছিন্নমুল ও হতদরিদ্ররা। এতে করে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার নদ-নদী বেষ্টিত সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার সবুর আলী জানান, প্রায় এক মাস ধরে ঠান্ডায় ভুগছি। রাত হলে ঠান্ডা বেড়ে যায়। খুব বেশি গরম কাপড় নাই। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি।
জেলা শহরের রিকশা চালক আমজাদ হোসেন জানান, আমি শহরে রিকশা চালায়। সন্ধার পর থেকে আর রিকশার হ্যান্ডেল ধরা যায় না। কনকনে ঠান্ডায় যাত্রীও পাওয়া যায় না। শীতের জন্য খুব কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তুহিন জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপত্রামা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলার শীতার্ত মানুষের মাঝে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারি ভাবে বিতরণ করা হয়েছে আরো তিন হাজার শীত বস্ত্র। এছাড়াও নতুন করে আরো ২৫ হাজার কম্বলের বরাদ্দের চিঠি পাওয়া গেছে। এগুলো হাতে পাওয়ার সাথে সাথে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।