নোয়াখালীতে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে হরিলুট

নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:০১

কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পে নিময় ভেঙে এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটা চলছে। ছবি: নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে।
কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিমের ভাষ্যমতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৭-৮টি রাস্তায় মাটি ফেলার কাজ চলছে। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানালেন ওই ইউনিয়নে ২টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয়দের দিয়ে মাটি কেটে এসব প্রকল্পের কাজ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেশিন দিয়ে সস্তায় মাটি কেটে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করছেন এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা।
ওই ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো প্রকল্প কমিটি শ্রমিক দিয়ে কাজ করার মাস্টাররোল অফিসে জমা দিলেও, আসলে কাজ করছে এস্কেভেটর (স্থানীয়ভাবে ভেকু নামে পরিচিত) মেশিন দিয়ে। ফসলি জমির মাটি কেটে তা নেওয়া হচ্ছে সড়কে। এতে দরিদ্রদের পাশাপাশি কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এসব অনিয়মের সবই হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের চোখের সামনে। কিন্তু, কাউকেই কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা প্রশসনকে ম্যানেজ করে চলছে এই অনিয়ম ও দুর্নীতি।
অভিযোগের বিষয়ে কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম বলেন, আমার ইউনিয়নে ৭-৮টি রাস্তার কাজ চলমান আছে, ৫০ শতাংশ কাজ শেষ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের এলাকায় শ্রমিকের সংখ্যা খুবই অভাব। এলাকার প্রায় লোকই ইটভাটায় কাজ করেন। তবে মেশিনের পাশাপাশি শ্রমিক দিয়েও কাজ চলছে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সামনে বর্ষা আসতেছে, এই জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে কয়েকটা প্রকল্পে মেশিন দিয়ে কাজ চলছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু তার ইউনিয়নে নয় সব ইউনিয়নেই এ ভাবে কাজ চলছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদের দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে, তিনি জানান, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।