কয়লা সংকটে ৩ দিন রামপালে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৩৯

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: বাগেরহাট প্রতিনিধি
কয়লা সংকটে গেল তিন দিন ধরে বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গত শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে কয়লার অভাবে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ডলার সংকটে কয়লা আনতে না পাড়ায় উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। উৎপাদন শুরুর এক মাস পার হওয়ার আগেই উৎপাদন বন্ধের ঘটনা ঘটল। এই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে যাওয়া নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে কবে নাগাদ উৎপাদন স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। কয়লা না পাওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রটি চালু করার সুযোগ নেই। তবে এই সময়ে বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় হবে রক্ষনাবেক্ষন কাজে।
এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। ১৭ ডিসেম্বর থেকে এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হওয়া শুরু হয়। তখন ২০২৩ সালের জুনে এই কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তবে ডলার সংকট না কাটলে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক ( সিকিউরিটি ও প্রশাসন) ওয়ালি উল্লাহ বলেন, কয়লা শেষ হওয়ায় শনিবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়লা আসলে আবারো উৎপাদন শুরু হবে। তবে কবে নাগাদ কয়লা আসবে, বা আসতে পারেন সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কয়লা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলার অনুমোদন দিতে দেরি করছে। বিআইএফপিসিএল ঋণপত্র খুলতে না পারার বিষয়টি চিঠি দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) জানিয়েছে। ১০ ও ১১ জানুয়ারি বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
বিআইএফপিসিএলের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কয়লা না থাকায় শনিবার সকাল থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়লা আমদানিতে ডলার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার না দেওয়ায় কয়লা আমদানি করা যাচ্ছিল না। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত এই সংকট নিরসনের।