Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

অন্যায়কারীরা কখনো প্রশ্রয় পাবে না: মানবাধিকার কমিশন

Icon

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:২৭

অন্যায়কারীরা কখনো প্রশ্রয় পাবে না: মানবাধিকার কমিশন

ম্রো পাড়ায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় পরিদর্শনে মানবাধিকার কমিশন। ছবি: বান্দরবান প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ম্রো পাড়ায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে ঘটনায় অন্যায়কারীরা কখনো প্রশ্রয় পাবে না। যারা অন্যায় করেছে তাদের বিষয়ে খবর নিয়ে জানা হবে। প্রকৃতপক্ষে ভূমির মালিক যারা তাদের অধিকার থাকবে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের রেংয়েন ম্রো পাড়ায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তার আগে ৫ জানুয়ারি সেখানে পরিদর্শনে যান কমিশনের চার সদস্যের একটি তদন্ত দল।

১ জানুয়ারি রাতে রেংয়েন ম্রো পাড়ার তিনটি ঘরে আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ পুড়ে ফেলা হয়। সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে ফেলা হয় আরো তিনটি ঘর। বাকি দুটি ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে নগদ অর্থ, ঘরের জিনিসপত্র ও গবাদিপশু লুট করা হয়।

পাড়াবাসীরা এ ঘটনার জন্য ‘লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লোকজনকে দায়ী করে আসলেও তা অস্বীকার করেছে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আরো বলেন, এ বিষয়ে আরো তদন্ত হওয়ার দরকার আছে। গত বছরের ২৬ এপ্রিল প্রথম যখন আগুন লাগানো হয় তখন থেকে তদন্ত করা শুরু হয়। কিছু তথ্য পাওয়ার বাকি ছিল। সেগুলো নিয়ে তথ্য আদায় করার চেষ্টায় ছিলাম। এর মধ্যে দুর্ভাগ্যক্রমে ১ জানুয়ারি রাতে এ ঘটনা ঘটে। তার জন্য আমরা নিজেরাও দুঃখিত।


যেকোনো পরিস্থিতিতে পাড়াবাসীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোন রকমে নিজেদের শরীরে উপরে আঘাত আসতে পারে। কোন রকমের মারমুখী অবস্থাকে মোকাবিলা করতে হবে- এ ধরণের কিছুতে আপনারা যাবেন না। নিজেদের সন্তান সন্ততিদের নিয়ে সেদিন একটা নিরাপদ জায়গায় গিয়ে ছিলেন। তার মানে আপনারা নিজেদের জীবনকে রক্ষা করেছেন। এটা ভাল কাজ করেছেন। কিন্তু অন্যায়কারীরা রক্ষা পাবে না।

৪০০ একর রক্ষার দাবিতে গড়ে উঠা ‘সরই ভূমি রক্ষা কমিটির’ সদস্য সচিব রেংয়েন ম্রো জাতীয় মানবাধিকার চেয়ারম্যানের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা, কাউছার আহমেম ও কংজরী চৌধুরী। এছাড়া লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জাবেদ, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান ও গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মারমা এবং সরই ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিছ উপস্থিত ছিলেন।

গত বছর ২৬ এপ্রিল বান্দরবানের লামার উপজেলার সরই এলাকায় ম্রো ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর বসবাস করা ৪০০ একর ভূমিতে রাবার ও কাজু বাদামের চারা লাগানোর উদ্দেশ্যে ‘লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লোকজন আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ৩৫০ একর জুমভূমি আগুনে পুড়ে বিরানভূমিতে পরিণত হয়।

এতে বাঁশ ও গাছ কেটে বিক্রি করা লাংকম ম্রো পাড়া, জয়চন্দ্র ত্রিপুরা পাড়া ও রেংয়েন ম্রো পাড়ার মোট ৩৬টি পরিবার কিছুদিন খাদ্য সংকটে পড়ে। এরপর ৪০০ একর ভূমি রক্ষার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে তিন পাড়াবাসী। অন্যদিকে এই ৪০০ একর ভূমি নিজেদের লীজের জায়গা বলে দাবি করে আসছে ‘লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ নামে একটি রাবার কোম্পানি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫