পাবনায় সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৭

সরিষার বাম্পার ফলন। ছবি: পাবনা প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশার চাঁদর মুড়ি দিয়ে এসেছে শীত। শত বাঁধা উপেক্ষা করে কৃষকরা বুকভরা আশা নিয়ে এ বছর আবাদ করেছে সরিষা। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যেকটি মাঠে গেলেই চোখে পড়ে অবারিত সরিষার ক্ষেত। এ অঞ্চলের যে দিকে দুই চোখ যায় শুধু পাকা হলুদের সমারোহ। কৃষক সরিষার আবাদ করেছে প্রাণ খুলে। অল্পদিনের আবাদে কৃষকদের বেশি একটা খরচ হয় না বলে তারা সরিষার আবাদ করে থাকে। আমন ধান উঠার পর পর কৃষকেরা জমি চাষ করে অথবা অনেকেই ধানের জমিতে চাষ ছাড়াই ছিটিয়ে সরিষার আবাদ করে থাকে।
এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলার খানমরিচ গ্রামের কৃষক জব্বার আলীর সাথে, তিনি গত বছর আড়াই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছিলেন। ফলন ভালো হয়েছিল তাই এ বছর প্রায় চার বিঘা জমিতে তিনি সরিষার আবাদ করেছেন। পাক ধরে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে প্রত্যেকটি সরিষার গাছে। কোনো কোনো জমি থেকে সরিষার গাছ উঠাতেও শুরু করেছে। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে কৃষকরা বুকভরা আশা বেঁধেছে নিজ নিজ চাহিদা মেটানোর পর বিক্রি করে অনেক লাভবান হবার।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড শীত থাকলেও সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। এছাড়া এ উপজেলার মাটি সরিষার আবাদের জন্য বিশেষ উপযোগী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরিষা চাষিদের যথাযথ পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন মাঠে থেকে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. শারমিন জাহান জানান, এ উপজেলায় এ বছর ৫ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ বছর ৬টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ১৮.৫ টন সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা রাখছি। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সরিষা উঠানো শুরু হয়েছে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে অল্প দিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ সরিষা উঠানো শেষ হবে। কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।