ক্রাইম পেট্রল দেখে হত্যার ছক কষে পাঁচ স্কুলছাত্র

খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৫

আটক ৫ স্কুলছাত্র, ইনসেটে হত্যাকাণ্ডের শিকার নিরব মণ্ডল। ছবি: সংগৃহীত
খুলনায় অপহরণ করার পর গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নিরব মণ্ডলকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই স্কুলের ৫ ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার নিরব মণ্ডল গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ১৩ বছরের এই কিশোর গুটুদিয়া পূর্বপাড়ার পান-সুপারি ব্যবসায়ী শেখর মণ্ডলের ছেলে।
আটক ৫ জনের মধ্যে দ্বীপ মণ্ডল ষষ্ঠ শ্রেণি; সোহেল মোল্লা, হীরক রায় ও পিতু মণ্ডল নবম শ্রেণি এবং পিয়াল রায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পিয়ালের বাড়ি ডুমুরিয়ার ভান্ডারপাড়া তেলিগাতি এলাকায় এবং অন্য চারজনের বাড়ি গুটুদিয়া এলাকায়।
ডুমুরিয়া থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, নিরব মণ্ডল গুটুদিয়া এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। স্কুল ছুটির পর পিয়াল নামের একটি ছেলে নিরবকে ডেকে নিয়ে যায়। স্কুলের পেছনে পরিত্যক্ত একটি ভবনে মধ্যে অবস্থান করছিল পিতু, সোহেল এবং দ্বীপ। নিরবকে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার পা ধরে রাখে এবং মুখ বন্ধ করতে চায়। এছাড়া রশি ঝুলিয়ে রেখেছিল দ্বীপ। আটকদের ভাষ্য অনুযায়ী তাদের পরিকল্পনা ছিল অজ্ঞান করে তার বাবার কাছ থেকে টাকা নেয়ার। কিন্তু তারা প্রথমেই তাকে ঝুলিয়ে মেরে ফেলে। ২-৩ জন রশি টেনে ধরে রাখে, নিরব সঙ্গে মারা যায়।
তিনি আরো বলেন, সেখানে নিরবের লাশ রেখে তারা তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। হীরকের দায়িত্ব ছিল নিরবের বাবার মোবাইল সংগ্রহ করার। ওই নম্বরে ফোন দিয়ে নিরবের বাবার কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি জানার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে ৫ জনকে আটক করি। লাশ উদ্ধারের আগে প্রথমে সোহেলকে আটক করি। পরে দ্বীপ, পিয়াল ও পিতুকে আটক করা হয়। আর লাশ উদ্ধারের পর হীরককে আটক করা হয়৷
ওসি বলেন, তারা ভারতের টেলিভিশন শো 'ক্রাইম পেট্রল'-এর একটি পর্ব দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। সেই প্লান অনুযায়ী কার কি ভূমিকা থাকবে, সেই অনুযায়ী তারা ভূমিকা নিয়েছে। তারা এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা ক্রাইম পেট্রল দেখেই মুক্তিপণ ৩০ লাখ টাকা দাবি এবং আগে পরে কি করবে সেই অনুযায়ী কাজ করেছে।