Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

সহপাঠীরা ঠেকাল বান্ধবীর বাল্যবিবাহ

Icon

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:০১

সহপাঠীরা ঠেকাল বান্ধবীর বাল্যবিবাহ

নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী। ছবি: নীলফামারী প্রতিনিধি

বিয়ের সব প্রস্তুতি শেষ। চলছে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। তবে বিয়েতে বাদ সাধল কনের সহপাঠীরা। তারা ফোন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও)। পরে নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল ওই স্কুলছাত্রী।

গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নীলফামারীর সৈয়দপুর নিয়ামত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। 

জানা গেছে, ওই স্কুলছাত্রী চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ছাত্রীর বাড়িতে তার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। শুক্রবার দিনাজপুরের পার্বতীপুরের এক ছেলের সঙ্গে তার বিয়ের কথা ছিল। আর এ বাল্যবিবাহের বিষয়টি ইউএনও ফয়সাল রায়হানকে জানান তার সহপাঠী ও স্থানীয়রা। বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ইউএনও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান ওই বাড়িতে। তিনি অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ওই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।

সৈয়দপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরন্নাহার শাহজাদী বলেন, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে দেয়ার জন্য ওই ছাত্রীর অভিভাবককে পরামর্শ দিয়েছি। ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে দেওয়া হবে না মর্মে ছাত্রীর অভিভাবকের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল রায়হান বলেন, ওই ছাত্রীর বয়স ১৮ বছরের কম। আর ১৮ বছরের কমবয়সী মেয়েদের বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিবার প্রশাসনের নজর এড়িয়ে তাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তার সহপাঠিরা ও স্থানীয়রা আমাকে অনুরোধ করে জানায় বিয়ে বন্ধ করতে।

তিনি আরো বলেন, পরে আমি ওই বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেই। ওই ছাত্রীর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে দেওয়ার জন্য অভিভাবককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫