ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখে অভিভূত সুইডিশ ও জার্মানের পর্যটকরা

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৬
-63df24428fa01.jpg)
ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শনে পর্যটকরা। ছবি: বাগেরহাট প্রতিনিধি
ভারতীয় প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাসে’ বাংলাদেশে আসা সুইডিশ, জার্মান ও ইন্ডিয়ার পর্যটকরা বাগেরহাটের বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন করেছেন।
গতকাল শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মোংলা থেকে সড়ক পথে পর্যটকরা ষাটগম্বুজ মসজিদে আসেন। এসময় বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
এর আগে দুপুরে বিদেশি পর্যটকবাহী প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস মোংলা বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে মোংলা বন্দরের পক্ষ থেকে অতিথিদের অভ্যার্থনা জানানো হয়। মোংলা বন্দরের আতিথেয়তা, আনুষ্ঠানিকতা ও দুপুরের খাবার শেষে সড়ক পথে ষাটগম্বুজ মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
বিকেলে ষাটগম্বুজ পৌঁছানোর পরে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হেলাল উদ্দিন অতিথিদের বাগেরহাট যাদুঘর ও ষাটগম্বুজ মসজিদ ঘুরিয়ে দেখান। অতিথিদের কাছে ইংরেজি ভাষায় ষাটগম্বুজের ইতিহাস ও বাগেরহাট সম্পর্কে বর্ণনা করেন। অতিথিরাও মুসলিম স্থাপত্যের এই প্রাচীন নিদর্শন সম্পর্কে খোজ খবর নেন। মসজিদের স্বতন্ত্র স্থাপত্যশৈলী এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন পর্যটকরা।
এমভি গঙ্গা বিলাসের ট্যুর অপারেটর জার্নি প্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান বলেন, ষাটগম্বুজ ঘুরে সুইডিশ, জার্মান ও ইন্ডিয়ার পর্যটকরা খুব আনন্দ প্রকাশ করেছেন। পর্যটকদের এই ভ্রমণটি পৃথিবীর সবচেয়ে লং ট্যুর রিভার ক্রুজ। এটি ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দেবে। বাংলাদেশ-ভারতের ২৭টি নদী ও ৫০টি পর্যটন কেন্দ্রে যাবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভ্রমণ শেষে ১৭ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রামের চিলমারী হয়ে ভারতের আসামে ঢুকবে।
প্রমোদতরীটি ১৩ জানুয়ারি ভারতের বেনারস রাজ্য থেকে ছেড়ে আসে। জাহাজটি ৫১ দিনের সফরে বের হয়েছে। এই প্রমোদতরীতে সুইডেনের ২৮, জার্মানের ১ এবং ইন্ডিয়ার একজন পর্যটক রয়েছেন।