
ফুলঝাড়ু তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিক। ছবি: প্রতিনিধি
গ্রাম শহরে বাড়ছে ফুলঝাড়ুর চাহিদা। আগে মানুষ নারিকেল শলার ঝাড়ু বেশি ব্যবহার করতেন। বাসা-বাড়ি পরিষ্কারের অন্যতম গুরুত্ব বহন করে কুটির শিল্পের এ অনুষঙ্গ।
কুমিল্লার ১৭ উপজেলা আর নগরীতে দেখা গেছে এর ব্যাপক চাহিদা। প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকার ব্যবসা করছে প্রতিটি কুটির শিল্পের প্রতিষ্ঠান। উলু ফুলের ঝাড়ুর সাথে বাজারে ব্যাপক চাহিদা আছে শলার ঝাড়ু, কার্পেট, ম্যাট, পাপোশের।
ফুলের গুণগতমানের ওপর নির্ধারণ করা হয় একেকটি ঝাড়ুর দাম; যা পাইকারিভাবে ৪০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করা হয়। দৈনিক একজন পুরুষ শ্রমিক গড়ে ২০০ থেকে ২৫০টি ঝাড়ু প্রস্তুত করতে পারেন। প্রতিটি ঝাড়ু বাঁধাই করে শ্রমিক পায় আড়াই টাকা। এ হিসেবে দিনের কয়েক ঘণ্টা কাজ করে চারশ থেকে পাঁচশ টাকা আয় করছেন একেকজন শ্রমিক।
এছাড়াও এখানে স্থানীয় অনেক নারীও অবসর সময়ে কাজ করে কিছুটা বাড়তি আয় করতে পারছেন। কুমিল্লার ঝাড়ু তৈরির জন্য বিখ্যাত নবাববাড়ি চৌমুহনী। চৌমুহনীসহ পাশের এলাকায় প্রায় অর্ধশত উদ্যোক্তা রয়েছেন। এসব দোকানে তিন শতাধিক মানুষ কাজ করেন।
নবাববাড়ি এলাকার নোছারাবাদ কুটির শিল্পের মালিক আ. আলিম জানান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি থেকে আমরা উলু ফুল ক্রয় করি। শলার ঝাড়ুর কাঁচামাল খুলনা বাগেরহাট থেকে ক্রয় করা হয়।
কুমিল্লা বিসিক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মুনতাসির মামুন জানান, ফুলঝাড়ুর চাহিদা আছে। এটি কুটির শিল্পের অন্যতম একটি শাখা। তবে সে তুলনায় প্রশিক্ষণে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা কম।