-27-63df7e2398cbc.jpg)
কৃষক এখন বোরো ধান আবাদের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছবি: প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীত ও কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় ক্রমাগতভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ে এ জেলার কৃষকরা। স্বাভাবিক কর্মজীবনে দেখা দেয় স্থবিরতা। তীব্র শীতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ নিয়েও বিপাকে পড়েন তারা।
এমনকি শীতে কৃষি শ্রমিক না পাওয়ায় বেশি টাকায় শ্রমিক নিতে হয় তাদের। গত কয়েক দিন ধরে জেলায় শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় কৃষকরা তাদের জমিতে এখন বোরো ধান লাগানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলার চার উপজেলায় ৩৬ হাজার ৭০৯ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তার মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৮১৫ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১২ হাজার ৪৬৪ হেক্টর, দামুড়হুদা উপজেলায় ৯ হাজার ৯৩০ হেক্টর, জীবননগর উপজেলায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জেলায় ১ হাজার ৯০৪ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে ধানের চারা রোপণ কাজ হয়েছে।
জীবননগরের কৃষক হাসান নিলয় বলেন, এ বছর দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। কনকনে ঠান্ডা ও বাতাসে বীজতলা থেকে চারা এনে রোপণ করার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিল না। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এখন শ্রমিক নিয়ে মাঠে কাজ করেত পারছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার অধিক বীজতলা প্রস্তুত করেছি, যাতে ধানের চারার কোনো সংকট না হয়। তাই বোরো ধানের চারার তেমন কোনো সঙ্কট নেই। এ জেলার কৃষক এখন বোরো ধান আবাদের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে। গত মৌসুমে জেলায় ৩৬ হাজার ৭০৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল।