Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

বরিশালে নার্সিং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একজন চাকরীচ্যুত

Icon

বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৫৭

বরিশালে নার্সিং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একজন চাকরীচ্যুত

বিক্ষোভ করছেন নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীরা। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি

চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী কর্তৃক সহপাঠীর সাথে দুর্ব্যবহার করায় প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বরিশাল নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রিফাত সেরনিয়াবাত নামের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীকে চাকরীচ্যুত করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন বিহিঃর্বিভাগে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী বরিশাল নার্সিং কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার জানান, দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের নিচতলায় মেডিসিন বহিঃর্বিভাগের আরপিও ডা. তিলত্তমা শাহরিনের চেম্বারে আসেন তিনি।

এসময় রোগীর চাপ বেশি থাকার অজুহাত তুলে আমাকেও সাধারণ রোগীদের সাথে সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে রাখেন চিকিৎসকের কক্ষের সামনে অ্যাটেন্ডেন্টের দায়িত্বে থাকা চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী রিফাত সেরনিয়াবাত।

তিনি বলেন, চিকিৎসককে দেখাতে গিয়ে অনেক দেরী হয়ে যায়। যে কারণে চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেয়া ওষুধ পাওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের ফার্মেসি।

এ নিয়ে চিকিৎসকের অ্যাটেন্ডেন্টের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার। এসময় রিফাত সেরনিয়াবাত নামের ওই যুবক নার্সিং শিক্ষার্থীর সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকি নার্সিং শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র টেনে নিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে রাখেন এবং তার বিরুদ্ধে বিচার দেয়ার হুমকি দেয় রিফাত।

তবে অভিযুক্ত রিফাত সেরনিয়াবাত নামের চুক্তিভিত্তিক ওই কর্মচারী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী সকল রোগীকে সিরিয়ালে দাঁড়াতে হয়েছে। নার্সিং কলেজের ওই শিক্ষার্থীকেও সিরিয়ালে দাঁড়াতে বলা হয়। এজন্য তিনি ক্ষেপে গিয়ে আমার বাবা-মা তুলে দুর্ব্যবহার করেন। তখন আমি তার আইডি কার্ডের ছবি তুলে ম্যাডামের কাছে বিচার দেয়ার কথা বলি। কিন্তু তার সাথে কোন প্রকার দুর্ব্যবহার করা হয়নি।

এদিকে সহপাঠীর সাথে দুর্ব্যবহার করার খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয় নার্সিং কলেজ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযুক্ত অ্যাটেন্ডেন্টের বিচার দাবিতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ এবং রোগী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় দূর দুরন্ত থেকে আসা অসহায় রোগীদের। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এখানকার শিক্ষার্থী হওয়া সত্যেও আমরা হাসপাতালে সুযোগ সুবিধায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। হাসপাতালে রোগ দেখাতে আসলে সাধারণ রোগীদের মতো আমাদেরকেও সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এটা আমাদের জন্য যেমন লজ্জার তেমনি দুঃখজনকও।

এ প্রসঙ্গে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে যেই কর্মচারীর বিরোধ হয়েছে তিনি চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী ছিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে সম্প্রতি অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। এই ঘটনার পর পরই তাকে ডেকে চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তিনি বলেন, নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীরা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এবং বৈষম্যের যে অভিযোগ তুলেছেন সেটা সঠিক নয়। আমাদের চিকিৎসকরা তাদের সবসময় আলাদাভাবেই দেখে থাকেন। তার পরেও তাদের দাবির বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকদেরকে নতুন করে নির্দেশনা দেয়া হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫