ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফের আদালত বর্জনের ডাক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৮

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে আইনজীবীরা। ছবি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে আইনজীবীরা। আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির বিশেষ সাধারণ সভা শেষে এই ঘোষণা দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি তানভীর ভূঞা বলেন, আমরা আইনমন্ত্রী মহোদয়ের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে দুইটি আদালত ছাড়া বাকি আদালতে যাওয়া শুরু করেছিলাম; কিন্তু আমাদের আগের জায়গায় ফিরে আসতে হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি না আইনমন্ত্রী মহোদয় মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ধরে নিয়েছি তিনি অপারগ। তাই তিনি বলতে পারছেন না; কিন্তু আইনজীবীরা তা মানতে পারছেন না। এই কারণে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে আইনজীবীরা।
তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, পুরাতন কাচারি এলাকায় আমাদের সম্পদ সংরক্ষণ, দুই বিচারকের অপসারণের ও নাজির মুমিনের শাস্তি দাবি মানা না হলে আইনজীবীরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়।
এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারিরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। পরবর্তীতে দফায় দফায় ৭ কর্মদিবস আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করে আইনজীবীরা।
এছাড়াও বিচারকের সাথে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করে উচ্চ আদালত। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীদের সাথে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাথে বৈঠকের পর দুটি আদালত বাদে বর্জনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।