কৃষি জমির মাটি নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। ছবি: মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় কৃষি জমি ধ্বংস করে মাটি বিক্রি অব্যাহত আছে। সরকারি আইন অমান্য করে আবাদি কৃষি জমির মাটি নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এসব নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও থামছেনা মাটি খেকোদের দৌরাত্ম্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, বায়রা ইউনিয়নের শিবপুর এলাকার কাচিগাড়ার চকে তিন ফসলি জমিতে ভেকু চলছে। এসব মাটি কাকড়া ট্রাক দিয়ে ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে।
ট্রাকচালক রবিন মিয়া বলেন, বায়রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম মিয়া জমি কিনে মাটি গাড়াদিয়া এলাকায় তার ইটভাটায় (এসবিসি) নিচ্ছে।
শিবপুর এলাকার গোবিন্দ বলেন, সেলিম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে মাটির ব্যবসা করে আসছে। আমার জমির পাশের জমি তিনি কিনে নিয়েছে। জমি ভেঙে পরার আশঙ্কায় আমি নিজেও তার কাছে জমি বিক্রি করে দিয়েছি।
বায়রা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ফরশেদ আলম বলেন, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটতে নিষেধ করায় তার কাছে আমি শত্রু হয়ে গেছি। বাধা দিয়ে তিনমাস বন্ধ রেখেছিলাম, চেয়ারম্যানকে ম্যানেজ করে এখন সেলিম মিয়া মাটি কাটছেন।
এ বিষয়ে বায়রা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও এসবিসি খোলার মালিক মো. সেলিম মিয়া বলেন, ওসব জমি আমি কিনেছি। নিজের জমির মাটি ইটভাটায় নিচ্ছি। তিন ফসলি জমির মাটি কাটলে কোন সমস্যা হয় কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইটভাটায় ভালো মাটি লাগে এটা সবাই জানে।
সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জালাল উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।