এখন থেকে বিরামপুরে ট্রেনের পণ্য খালাস: রেলমন্ত্রী

দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩২

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। ছবি: দিনাজপুর প্রতিনিধি
রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, এখন থেকে হিলিতে নয়, ট্রেনে আনা বিভিন্ন পণ্য বিরামপুর স্টেশনে মালামাল লোড-আন লোডের কাজ করা হবে। হিলি স্টেশনে ভারতের সীমানা ঘেঁষা হওয়ায় ভারতীয়দের কিছু বাধার কারণে বিরামপুর স্টেশনে নতুন করে সেড নির্মাণ করা হবে।
গতকাল শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিরামপুর রেল স্টেশনের আধুনিকায়নের কাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিটি ট্রেনে নতুন করে কোচঁ সংযোযোন করব। এখন থেকে দেশের সকল ট্রেনের ১১ বগি থেকে ১৮ বগিতে উন্নতি করা হবে। এতে করে যাত্রীদের চাপ অনেকটা কমে আসবে এবং ট্রেনের সেবা বাড়বে। ইতিমধ্যে দর্শনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত রেলের ডবল লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। খুব শিগগিরই সেখান থেকে বিরামপুর হয়ে পার্বতীপুর পর্যন্ত ডবল লাইনের কাজ শুরু হবে।
ঢাকাগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন বিরামপুর স্টেশনে যাত্রী ওঠা নামা করলেও পঞ্চগড় এক্সেপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সেপ্রেস করে না। তবে ট্রেন দুটি বিরামপুর রেল স্টেশনে কবে নাগাদ যাত্রী ওঠা নামার কাজ শুরু করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন থেকে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরামপুরে স্টপিজ দেবে। আর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়ানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।
এ সময় দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আনিচুর রহমান, রেলওয়ে পশ্চিম জোনের মহা ব্যবস্থাপক অশিম কুমার তালুকদার, প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক, বিভাগীয় প্রকৌশলী পাকশী-২ বিরমল মন্ডল, বিরামপুর পৌর মেয়র আক্কাস আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বিরামপুর স্টেশন অধুনিকায়নের কাজ ২১ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হয়। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মের উত্তর ও দক্ষিণের প্রশস্ত করণ এবং দ্বিতল ভনের নব্বই শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। এখন গাড়ি পাকিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। সব কাজ মিলে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার১০০ টাকা।