বরিশালে নিপাহ ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৭:১৯

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ
বরিশালে নিপাহ ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পলাশ নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়েছে।
আজ রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যু হওয়া পলাশ (২২) মাগুরা সদর থানাধীন ওলিমারা গ্রামের ওলিয়া মোল্লার ছেলে এবং পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
তিনি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে ধারনা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, নিপাহ ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট ১ এর অধীনে ভর্তি হন পুলিশ সদস্য। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ওইদিনই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ সদস্যের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মৃত কনস্টেবল পলাশের শ্যালক মো. ফিরোজ আলম বলেন, গত দেড় মাস আগে খেজুরের রস খান পুলিশ সদস্য পলাশ। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি তার শরীরে জ্বর আসলে ওইদিন সকালে তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ওই দিনই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
শেবাচিম হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্য শাহানাজ পারভিন বলেন, আমাদের এখানে (শেবাচিম হাসপাতাল) ভর্তি করার পর পরই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তবে রিপোর্ট এখনো আসেনি।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সদস্য পলাশ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা সেটা আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে ভাইরাসটির সব ধরনের উপসর্গই ছিল তার মধ্যে। রবিবার রাতের মধ্যে ঢাকা থেকে পরীক্ষার রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা রয়েছে। রিপোর্ট পেলে তিনি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের পরিচালক ডা. হুমায়ুন শাহিন খান বলেন, বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী শনাক্ত হয়নি। পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।