অপহৃত বিএম কলেজছাত্রী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯:৫৭

বরিশালের মানচিত্র
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের অপহৃত এক ছাত্রীকে উদ্ধার এবং জয় কর্মকার নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে ঢাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারসহ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার জয় কর্মকার নগরীর ভাটিখানা এলাকার মন্টু লাল কর্মকারের ছেলে এবং উদ্ধারকৃত অর্পিতা নগরীর বাজার রোডের সেনপাড়ার বাসিন্দা বাসুদেব চন্দ্রের মেয়ে এবং বিএম কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
তবে গ্রেপ্তারকৃত যুবক জয়ের পরিবারের দাবি, এটি কোন অপহরণের ঘটনা নয়। দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা বিবাহ করে ঢাকায় বসবাস করতেন।
অর্পিতার মা গীতা রানী চন্দ্র বাদী হয়ে রবিবার বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় জয় কর্মকার ও তার বাবা মন্টু লাল কর্মকারকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ জানুয়ারি নোটারি পাবলিক আদালতের মাধ্যমে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের বাসিন্দা সৌরভ হাওলাদারের সাথে বিয়ে হয় অর্পিতা চন্দ্র মুনের। ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তার আগেই গত ৮ ফেব্রুয়ারি জয় কর্মকার বিএম কলেজের মসজিদ গেটের সামনে থেকে অর্পিতাকে অপহরণ করেন। ওই সময় কলেজ থেকে বাসায় ফিরতে ছিলেন অর্পিতা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, কয়েক মাস পূর্বে জয় কর্মকারের সাথে পরিচয় হয় অর্পিতার। এর পর থেকে তিনি উত্যক্ত করতো অর্পিতাকে। এর পর তাকে অপহরণ করে জয়।
তবে জয় কর্মকারের কাকা অনিল কর্মকার বলেন, অর্পিতা ও জয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা বিয়ে করে ঢাকায় সংসার করছিলেন। এখানে অপহরণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাছাড়া ছেলে-মেয়ে দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। আমাদের পরিবারকে হয়রানি করতেই অর্পিতার পরিবার এই মামলা করেছেন।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পার্থ সারথী বলেন, মামলার সূত্রধরে ঢাকা থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা মেয়েটিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি জানিয়েছে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। তার সাথে দুইজনের বিয়ে ছিল কিনা সেটা এখনো আমরা নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।