ভূমিকম্পে কক্সবাজারের কয়েকটি ভবনে ফাটল

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২৩:৪৫
-63fa4930b8f11.jpg)
ভূমিকম্পে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফাটল। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি
ভূমিকম্পে কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকার কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ও রয়েছে।
এর আগে, কক্সবাজার ও তার আশপাশের এলাকায় ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ২০ দশমিক ৯০ অক্ষাংশ এবং ৯২ দশমিক ৩৩ দ্রাঘিমাংশে। এর উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৭৭ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
এদিকে ভূমিকম্পের ফলে কক্সবাজার ও টেকনাফের বিভিন্ন স্থানের ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফাটলের বেশকিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া আরো কয়েকটি বাড়ি ঘরে ফাটলের খবর জানা গেছে।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, বিকেলে ভূকম্পন অনুভূত হওয়ায় তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বের হয়ে যাই। পরে এসে দেখি অফিসের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে।
টেকনাফের বাসিন্দা পিকলো দত্ত বলেন, গত ৬-৭ বছরে কয়েকটি ছোট ভূমিকম্প হয়েছিল। কিন্তু আজকের মতো বড় ধরনের ঝাঁকুনি আগে অনুভূত হয়নি। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আমার বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমির হামজা বলেন, আমার জীবনে এত বড় ভূমিকম্প কখনও দেখিনি। কিন্তু এখানে অনেকে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করছে। ফলে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বেশি রয়েছে এখানে।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক অতীশ চাকমা জানান, কক্সবাজারসহ টেকনাফের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্পের কারণে ক্ষয়ক্ষতির কোনো আসেনি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিচ্ছি। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলে ভবন বা তার আশপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।