Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

বিমানবন্দর চালু হলে খুলবে সমৃদ্ধির দ্বার

Icon

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:৪৯

বিমানবন্দর চালু হলে খুলবে সমৃদ্ধির দ্বার

ঘাসে ঢাকা কুমিল্লা বিমানবন্দর। ছবি: প্রতিনিধি

রেমিট্যান্সে সর্বোচ্চ কুমিল্লা জেলা। বিমানবন্দরের পাশে কুমিল্লা ইপিজেড। বিমান যোগাযোগ চালু থাকলে এতে সহজে বিদেশি বিনিয়োগকারী আসতে পারবেন। খুলে যাবে সমৃদ্ধির দ্বার। ঢাকা-চট্টগ্রামের মাঝামাঝি ও মহাসড়ক সংলগ্ন বন্দর এটি। ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জেলার বিমানবন্দরটিতে বিমান নামা বন্ধ রয়েছে গত ৪৭ বছর ধরে। জেলা কর্মসংস্থান কার্যালয়ের তথ্য মতে ১৫ লাখের বেশি প্রবাসী আছে কুমিল্লার ১৭ উপজেলায়।

সূত্র মতে, ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নেউরা-ঢুলিপাড়ার পাশে স্থাপিত হয় কুমিল্লা বিমানবন্দর। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে সেনাবাহিনী এ বিমানবন্দর ব্যবহার করত। ১৯৬৬ থেকে এ বিমান বন্দর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বিমান ওঠানামা করে এ বন্দরে। তারপর তা বন্ধ হয়ে যায়।

বিমানবন্দর এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৭৭ একর ভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বিমান বন্দর। সামান্য কিছু জায়গা বাদ দিয়ে বেশিরভাগ এলাকা ঘাসে ঢাকা। ইপিজেডের ৩ নম্বর গেট রয়েছে কুমিল্লা বিমানবন্দর এলাকায়। এর আশেপাশে আছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নেউরা, ঢুলিপাড়া, রাজাপাড়া, উনাইসার, দিশাবন্দ ও রসুলপুর এলাকা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, মাত্র ৩০ কোটি টাকার সংস্কারে বিমানবন্দরটি সচল হতে পারে। বিমানবন্দরটি চালু হলে বিমানবন্দর সংলগ্ন কুমিল্লা ইপিজেডে আরও অনেক বিদেশি বিনিয়োগ আসত, কর্মসংস্থান হতো বিপুল সংখ্যক মানুষের। অর্থনীতিতে যোগ হতো নতুন মাত্রা।

কুমিল্লা বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিমানবন্দরটির বেশিরভাগ যন্ত্র সচল। ২০-২৫ কোটি টাকা খরচ করলে এ বন্দরটিতে বিমান ওঠানামার কাজ শুরু করা যাবে। এ বন্দর চালুর বিষয়ে কুমিল্লার এমপিরা যদি চান, তাহলে আলোর মুখ দেখতে পারে। বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। জমি কেনা বা অধিগ্রহণের ঝামেলা নেই। প্রয়োজন রানওয়ে কার্পেটিং, ফায়ার সার্ভিস ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের জনবল। বর্তমানে এ বন্দরে ২০ জন লোকবল রয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫