Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে যশোরে ৪ নারী

Icon

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ২২:৪২

কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে যশোরে ৪ নারী

গান্ধীর অহিংসা বাণী ছড়াতে কলকাতার ৪ নারীর পদযাত্রা। ছবি: সংগৃহীত

মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারতের কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে যশোরে এসেছেন চার নারী। গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) শহরের বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়।

এদিন রাতে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যশোরে পৌঁছান তারা। বাংলাদেশর ৯ জেলা পায়ে হেঁটে আগামী ১৬ মার্চ নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হবে। আয়োজকরা জানান, শান্তির জন্যই এই পদযাত্রা। এর উদ্দেশ্য, গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার।

জানা যায়, অস্থির এই বিশ্বে মহাত্মা গান্ধীর পথকেই পাথেয় করে এবং শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারতের চার নারী শুরু করছেন এই পদযাত্রা। 

ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির (এসএনইউ) সহযোগিতায় গান্ধি আশ্রম ট্রাস্ট আয়োজিত ‘গান্ধী অ্যান্ড ওয়াক’ শীর্ষক এই পদযাত্রা শুরু হয় কলকাতার বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে।

চার সদস্যের একটি দল গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে বেনাপোল হয়ে যশোর শহরে এসে পৌঁছান। পরে শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে যশোর সার্কিট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে দলটি নড়াইলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। লোহাগড়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন। আগামী ১৬ মার্চ নোয়াখালির গান্ধী আশ্রমে স্থানীয় সুধী সমাবেশের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শেষ হবে।

পদযাত্রার অংশ নিয়েছেন টিম লিডার ডা. আরজুমন্দ জায়েদি, সদস্য কাশিশ খানম, অনুষ্কা, পার্নোমিতা ডাঙ্গওয়াল। ‘গান্ধী অ্যান্ড ওয়াক’ শিরোনামে একটি ব্যানার ও ভারতীয় জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই দলটিকে পায়ে হেঁটে পদযাত্রা করতে দেখা গেছে। এসময় তারা মানুষের সঙ্গে কথা বলে পৌঁছে দিচ্ছেন শান্তির বার্তা। ভারতের এই দলের সঙ্গে নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমের দুইজন সহযোগী প্রতিনিধিও রয়েছেন।

পায়ে হেঁটে পদযাত্রায় শুক্রবার দুপুরে যশোর ছাড়ার আগে যশোর সার্কিট হাউজে দলের টিম লিডার ডা. আরজুমন্দ জায়েদি জানান, মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাভাবনা আমাদের গোটা বিশ্বকেই উজ্জীবিত করে। তার শান্তির বাণী আজ সারা বিশ্বেই আদৃত। আমাদের এই পদযাত্রা শান্তির জন্যই। এর উদ্দেশ্য, গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। আগামী দিনে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই শান্তি যাত্রার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান এই নারী।

নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমের কর্মী খায়রুজ্জামান খোকন বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলের শেষের দিকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানের মতো নোয়াখালীতেও হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। সেই দুঃসময়ে শান্তি মিশন নিয়ে নোয়াখালী ছুটে আসেন মহাত্মা গান্ধী। ১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৪৭ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত নোয়াখালী অবস্থানকালে তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্ব স্থাপনসহ সেবামূলক বিভিন্ন কাজে হাত দেন। মহাত্মা গান্ধী আমৃত্যু মানুষের মধ্যে শান্তি ও অহিংসার বাণী প্রচার করে গেছেন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫