চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকার একটি তুলার গোডাউনে লাগা আগুন ৯ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তুলার গোডাউন হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। একইসঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কেও কিছুই জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

আজ শনিবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকার নেমসান কন্টেইনার ডিপোর উল্টোদিকে অবস্থিত এ তুলার গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। রাত আটটা দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে তুলার গোডাউনে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ গোডাউনে রাখা তুলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। গোডাউনটি এসএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মো. লোকমানের কাছ থেকে ভাড়ায় নিয়েছেন সীতাকুণ্ডের শিল্প প্রতিষ্ঠান ইউনিট্যাক্স লিমিটেড। ওই কোম্পানি সুতা তৈরির কাজে ব্যবহৃত তুলাগুলো এ গোডাউনে রাখতো।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসে সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড এবং কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে তাদের সাথে আগ্রাবাদ ও বায়েজিদ অফিসের আরো চারটি ইউনিট কাজে যোগ দেয়।

কুমিরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র ফায়ার স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘তুলার মধ্যে আগুন ধরে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তবে পুরো গোডাউন আমরা ঘিরে ফেলেছি। আমাদের ১১টি ইউনিট কাজ করছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। এই আগুন পুরো নিভতে সময় লাগবে। সেটা একদিনও হতে পারে বা দুইদিনও হতে পারে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ বলেন, যেহেতু তুলার আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে তাই এটি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে। ঠিক কত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। 

তবে পানির তীব্র সংকটের কথা উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, শুকনো মৌসুম হওয়াতে পার্শ্ববর্তী খাল শুকিয়ে গেছে এবং পাশে পুকুর বা অন্য কোনো পানির উৎস না থাকাতে দূরবর্তী স্থান থেকে আমাদেরকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। যার ফলে কাজ করতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তবে গোডাউনে কোন বিস্ফোরক দ্রব্য থাকার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।