-640e958a0e7bd.jpg)
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়। ছবি: প্রতিনিধি
অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলেও পাল্টে যাচ্ছে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতাল চত্বরের দৃশ্য। প্রথমে বিলাসবহুল বাজেটে গেট নির্মাণের পরে এবার হাসপাতাল চত্বরের সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী হাসপাতালের সামনে দুটি মাঠে পার্ক, ফুলেল বাগান, পানির ফোয়ারা এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে গণপূর্ত বিভাগ।
আর এ জন্য প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে দুই কোটি টাকা। এর মধ্যে এই প্রকল্পের অনুকূলে এক কোটি টাকার প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের মধ্যেই প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছে গণপূর্ত বিভাগের মেডিক্যাল উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কামাল হোসাইন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালের সামনে দুটি মাঠ রয়েছে। যার মধ্যে জরুরি বিভাগ সংলগ্ন মাঠটিতে বনায়ন করা হয়েছে। এর একাংশ দখল করে আছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স মালিকরা। সেখানে অবৈধভাবে স্ট্যান্ড বানিয়েছেন তারা। আর নতুন মেডিসিন বিভাগের ভবনের সামনের মাঠটি আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। এই মাঠের একাংশে ফুলের বাগান রয়েছে।
এছাড়া বাকি অংশেও রাখা হচ্ছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স। তাছাড়া মাঠের এই অংশটিকে কাপড় শুকানোর কাজে ব্যবহার করছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং তাদের স্বজনরা।
আর এসব কারণে হাসপাতালের মাঠ দুটি দখলমুক্ত রাখতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পাশাপাশি সৌন্দর্য বর্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি এ জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠান তারা। এমনটি জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম।
গণপূর্ত বিভাগের মেডিক্যাল উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কামাল হোসাইন বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যে পরিকল্পনার কথা বলছে সেই প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্তত দুই কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু আমরা দুই কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছি না।
মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পের অনুকূলে এক কোটি ১০ লাখ টাকার মতো প্রশাসনিক বরাদ্দ দিয়েছে। এ টাকায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে সীমানা ওয়াল নির্মাণ। আগে আমরা সেটাই করব। আশা করছি চলতি মাসের মধ্যেই এ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে।