
গ্রেপ্তার নয় জঙ্গি। ছবি: প্রতিনিধি
বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতি এলাকা থেকে গত রবিবার অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার নয় জঙ্গিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক মো. নুরুল হক তাদেরকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মজিদ।
কারাগারে পাঠানো জঙ্গি সদস্যরা হলেন- ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শ্বারকীয়ার’ পার্বত্য অঞ্চলের প্রশিক্ষণ কমান্ডার দিদার হোসেন ওরফে চম্পাই, নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা আল আমিন সর্দার, ঢাকা জেলার কামরাঙ্গীর চর এলাকার বাসিন্দা সাইনুন রায়হান, সিলেটে বিয়ানী বাজার এলাকার বাসিন্দা তাহিয়াত চৌধুরী, একই জেলার শাহপরান এলাকার বাসিন্দা লোকমান মিয়া, কুমিল্লা লাকসামের ইমরান হোসেন, ঝিনাইদহ জেলার কোর্টচাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন, বরিশাল জেলা সদর বাসিন্দা আরিফুর রহমান ও ময়মনসিং জেলার ফুলপুর বাসিন্দা শামীম মিয়া।
আদালত পুলিশের পরির্দশক আবুদল মজিদ বলেন, গ্রেপ্তার নয় জঙ্গি সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ঢাকা উত্তরা র্যাবের সদস্য ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে ১০ এপ্রিল শুনানির তারিখ ধার্য করে আসামিদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদলত।
র্যাব অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শ্বারকীয়রা’ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাসহ মোট ৫৯ জন সদস্য ও তার মধ্যে পার্বত্য অঞ্চল থেকে ৩৬ জন সদস্য এবং কেএনএফের ১৭ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে গতকাল সোমবার (১৩ মার্চ) র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
গত বছর অক্টোবরে র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে সশস্ত্র সংগঠনটি অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শ্বারকীয়া’ সদস্যদের গহিন পাহাড়ে সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়। পরে রোংয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকায় কেএনএফ ও নতুন জঙ্গি সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় সেনা ও র্যাবের যৌথ বাহিনী।