
পোল্ট্রি মুরগির খামার। ছবি: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
মুরগির বাজারে গত ৩ সপ্তাহ ধরে চলছে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না মুরগির দামের।
‘মুরগি আমাদের মতো মধ্য বিত্তদের জন্য এখন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়িয়েছে’ জানান ঝিনাইদহ হাটখোলা বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে আব্দুর সবুর। তিনি জানান, আয় ও ব্যয়ের বিরাট ফারাক ভাই। এ কষ্ট ব্যাখ্যা করার মতো না।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোল্ট্রি খামারি দেলোয়ার হোসেন জানান, মাত্র তিন সপ্তাহ আগেও খামার থেকে ১ কেজি পোল্ট্রি মুরগি ১১০ টাকা বিক্রি হয়ে খুচরা বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু এখন ২৫০ টাকা একরেটে বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা।
ঝিনাইদহের মুরগি খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এমন অস্থিতিশীল বাজার তারা আগে কখনো দেখেনি। তবে তাদের অভিযোগ বড় বড় কোম্পানিরা যদি খাবারের ও মুরগির বাচ্চার দাম কমিয়ে রাখতো তবে এমন পরিস্থিতি তৈরির সুযোগই ছিল না।
তারা আরো জানান, বর্তমানে সোনালী মুরগি পাইকারি কেনা ৩১০ টাকা, খুচরা বিক্রি ৩৩০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগি কেনা ২১০ থেকে ২১৫ টাকা, খুচরা বিক্রি ২৫০ টাকা কেজি।
ঝিনাইদহের আরেক খামারি টিপু মন্ডল অভিযোগ করেন, মূলত বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে বড় বড় কোম্পানিরা। মাত্র দুই মাস আগে এক বস্তা (৫০ কেজি প্যাকেট) খাবারের দাম ছিল যেখানে দুই হাজার থেকে ২২০০ টাকা সেখানে বর্তমান বাজার ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩৬০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পাদ অফিসার মনোজিৎ কুমার সরকার অভিযোগ করে বলেন, দাম বাড়িয়েছে মূলত সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা। যারা দাম বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রমজানে আর দাম বাড়বে না বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, জেলাতে লেয়ার মুরগির (ডিম পাড়া মুরগি) খামার রয়েছে ১৫৮টি এবং ব্রয়লার, সোনালী ও অন্যান্য মুরগির খামার রয়েছে ১ হাজার ৭ শত ৮৮টি।