সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচনী কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১৯:৪২

সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব। ছবি: সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীগণ সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে যেন কোনো কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করতে না পারে সে মর্মে আহবায়ক কমিটি, নির্বাচন কমিশন ও ট্রাইব্যুনালের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধান এ আদেশ দেন।
এর আগে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন অন্তর্ভুক্ত বৈধ ১৯ জন সদস্যকে বাদ দিয়ে অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আহবায়ক কমিটি গঠন করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করলে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি জেহাদুল ইসলাম গং একটি মামলার দায়ের করেন।
দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম রাখাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাদীপক্ষের ন্যায় বিচারের স্বার্থে মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রেসক্লাবে কোন কার্যনির্বাহী কমিটি যেন গঠন করতে না পারে সেজন্য সকল বিবাদীকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়। তবে বিবাদীপক্ষ এক দরখাস্ত দ্বারা সময়ের প্রার্থনা করলে নির্বাচনী কার্যক্রমের উপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে ১৪ মার্চ শুনানির দিন ধার্য্য করেন আদালত।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৯ জন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সুনামের সাথে কাজ করে আসছেন। পেশাদার সাংবাদিক হওয়া স্বত্বেও প্রেসক্লাবের একটি চক্রের কারণে তারা বারবার প্রেসক্লাবে সদস্য পদের আবেদন করেও কোন ফল পাননি। তবে, বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি নতুন সদস্য নেওয়ার জন্য সার্চ কমিটি গঠন করে সকল কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ৫ ডিসেম্বর-২০২২ ১৯ জনকে সদস্যপদ প্রদান করেন। এরপর ওই চক্রটি নানা ষড়যন্ত্র ও বিরোধিতা করে বৈধভাবে নেওয়া ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে অবৈধভাবে একটি বৈঠক করে আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। শুধু তাই নয়, বৈধভাবে নেওয়া ১৯ সদস্যকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং নির্বাচন কমিশন ও ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আগামী ২৩ মার্চ পাতানো নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছিলেন।
এ ব্যাপারে জেহাদুল ইসলাম গং বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী চক্র জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের একমাত্র প্রিয় সংগঠন সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখতে চান। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ১৯জন সদস্যকে বাদ দিয়ে চক্রটি অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পাতানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছিলেন। এ নিয়ে বারবার কথা বলেও কোন কাজ হয়নি। তাই আমরা সঠিক বিচারের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হই।