ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ১১ বছরের শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরের দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঞা। 

এর আগে, সোমবার (২০ মার্চ) জেলার ধোবাউড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ (ডিবি) তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, জেলার ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরের মাইলামপাড়া এলাকার মো. ইস্রাফিল মিয়ার ছেলে ইউসুফ আলী (২০) এবং অপরজন ১৩ বছরের এক শিশু।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে কলসিন্দুর এলাকা থেকে ভুক্তভুগী শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে নেতাই নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বজনরা। ওই দিন মধ্যরাতে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ১৯ মার্চ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি উল্লেখ্য করা হয়।

পরে ওই দিন রাতে ভুক্তভুগী শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা আসামি করে ধোবাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সোমবার জেলার ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউসুফ আলীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আসামিদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ১৩ বছরের শিশু ইউসুফের ঘনিষ্ট সহচর। ঘটনার দিন ইউসুফ ও তার সহচর ভুক্তভুগীর বাড়ির পাশে উৎপেতে থাকেন। ভুক্তভুগী তাদের কাছাকাছি আসতেই তার মুখ চেপে ধরে পাশের কলা বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এরপর প্রমাণ লোপাট করতে ভুক্তভুগীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নেতাই নদীতে মরদেহ ফেলে দেন ঘাতকরা।

তিনি আরও বলেন, ইউসুফ ও তার সহযোগীকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।