কবিরাজের অপচিকিৎসায় শিক্ষার্থীর দেহ ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৪:৪৪

ঝিনাইদহ জেলার মানচিত্র। ফাইল ছবি
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে কবিরাজের অপচিকিৎসায় এক শিক্ষার্থীর দেহ ঝলসে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার কাউন্সিল পাড়ার আরিফুল ইসলামের কন্যা। সে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
গতকাল বুধবার (২২ মার্চ) রাতে হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভুগীর বাবা আরিফুল।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভণ্ডকবিরাজ সায়েদ আলী (৫৫) দীর্ঘ সতেরো বছর যাবৎ কবিরাজি করে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করে আসছেন। স্থানীয়ভাবে অনেকবার অনেক গ্রাম্য সালিশে মিমাংসা হলেও ইতিপূর্বে কেউ আইনের আওতায় আসেনি। এ ঘটনার সাথে সায়েদ আলীর স্ত্রী পাপিয়া খাতুনও জড়িত আছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগীর পিতা জানান, আমার মেয়ের উপদৃষ্টির ভাব হলে আমি হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার শুড়া গ্রামের সায়েদ আলী নামে এক কবিরাজের কাছে নিয়ে আসি। তিনি প্রথমে আমার মেয়েকে ঝাড়ফুক পানি পড়া দিয়ে চিকিৎসা করতে থাকেন। কোন প্রকার উন্নতি না হওয়ায় ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে আমি ও আমার সাথে থাকা মামুন বাধা দেয়। এসময় তিনি আমাদেরও পানিপড়া খাওয়ান। এতে আমরা অজ্ঞান হয়ে যায়। সে সময় তিনি আমার মেয়েকে শারিরীক নির্যাতন করেন। আমার মেয়ের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে প্রাথমিকভাবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।