ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে খাল দখল করে দোকান বরাদ্দ দিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এই ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে স্থানীরা।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০০৮ সালে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের কুড়িঘর বাজারের পাশের একটি খাল কিছু স্বার্থবাদী ভরাট করে ফেলে। এরপর সরকারি ভূমি অফিসের মাধ্যমে প্যারিফেরী করে দখলে নিয়ে দোকান তৈরি করে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জমান সেই জায়গায় দোকান বরাদ্দ দেন। তিনি প্রতি দোকান থেকে এক লাখ থেকে দুই লাখ টাকা নিচ্ছেন। তার সহযোগী হিসেবে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব, তহশিলদার, এসিল্যান্ড ও ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারের নেতৃত্বে বরাদ্দ দিচ্ছেন।

কুড়িঘর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়া বলেন, কীভাবে দোকানের জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছে তা জানি না। চেয়ারম্যান দোকানগুলো ভাগবাটোয়ারা করছেন। 

অভিযোগ অস্বীকার করে নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বলেন, কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। আগে যারা লিজ পেয়েছেন তারাই দোকান করছেন।

নাটঘর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব ছালেক আহমেদ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সব কিছু হচ্ছে। এই জায়গা খাল ছিল কিনা আমার জানা নেই। এই বিষয়ে নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, আমি নতুন যোগদানের পর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেছিলাম। কোনো প্রকার অনিয়মের সঙ্গে আমি জড়িত না। বিষয়টি খোঁজ-খবর নিচ্ছি। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এমপি এবাদুল করিম বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি। ইউএনও ও এসিল্যান্ডকে ঘটনা দেখে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এই মার্কেট দখলকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। দেশের জন্য ক্ষতিকর, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু করতে দেব না।