
ছাত্রলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী হৃদয় (২২)। ছবি: সংগৃহীত
ফেনীর সোনাগাজীতে সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী হৃদয় (২২) নামে ছাত্রলীগের এক নেতার পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন যুবলীগ কর্মীরা। এসময় তার ছোট ভাই নয়ন উদ্দিন চৌধুরী (১০) ও যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনকেও (৪০) কুপিয়ে জখম করা হয়।
আহতদের মধ্য ছাত্রলীগ নেতা হদয় ও তার ছোট ভাই নয়নকে চট্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও আহত যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত শনিবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের মধ্যম আহম্মদপুর গ্রামের বাঁশতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় রবিবার (২৬ মার্চ) যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেনের ভাই সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন—আরিফ হোসেন, তার ভাই সাইফুল ইসলাম, নেজাম উদ্দিন মাস্টার, মো. নাঈম, মো. রিফাত, মো. অন্তর, মো. আরাফাত, মো. মেজবাহ, মো. রাহাত, মো. আরমান, আমজাদ হোসেন, মো. হায়দার, মো. মিরাজ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৮-১০ জন।
এ ঘটনায় নেজাম উদ্দিন মাস্টার এবং মো. নাঈম নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে চরডুব্বা গ্রামের বাসিন্দা ও যুবলীগ কর্মী আরিফ হোসেন এবং সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০-২২ জনের একটি দল ইফরান হোসেন নামে এক দোকান কর্মচারীর ওপর হামলার উদ্দেশে তেড়ে যায়। এ সময় যুবলীগ নেতা মোশারফ হামলাকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন।
তখন যুবলীগ কর্মীরা মোশারফের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়ের পায়ের রগ কেটে দেয় তারা। হৃদয়ের চিৎকারে তার ছোট ভাই নয়ন এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।