
আশুলিয়া থানা। ছবি: আশুলিয়া প্রতিনিধি
আশুলিয়ায় বাবুল ফকির (৪৫) নামের এক ব্যক্তির গোপনাঙ্গ কর্তনের অভিযোগে কুলছুম বেগম (২৮) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশের এসআই অপূর্ব সাহা।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর দশতলা রোড এলাকা থেকে ওই নারীকে আটক করা হয়। এর আগে গত ২৪ মার্চ ভোর রাতে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর দশতলা রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক কুলছুম বেগম সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার বড় হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে ডেন্ডাবর দশতলা রোড এলাকার ভাড়াটিয়া।
আহত বাবুল ফকির (৪৫) ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার বনেরসঙ্গী এলাকার আব্দুর রহমান ফকিরের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত ৫ বছর আগে আহত বাবুল ফকিরের সাথে অভিযুক্ত আকলিমা বেগমের বিবাহ হয়। সেই সংসারের তাদের দুটি বাচ্চাও আছে। কিছুদিন আগে বাবুল ফকিরের চাকরি চলে গেলে আকলিমা তার দুই শিশু সন্তানকে নানার বাড়িতে রেখে আসে। পরে বাবুলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এর কিছু দিন পরে আকলিমা বাচ্চাদের খরচের জন্য বাবুলকে ফোনে টাকা দাবি করেন। পরে তিনি কোথায় আছে জানতে চাইলে আকলিমা তাকে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ আসতে বলেন। আকলিমার কথা মত বাবুল ফকির গত ২৩ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় আসলে তিনি তাকে নিয়ে ডেন্ডাবর আকলিমার খালা কুলসুমের বাসায় নিয়ে যান।
পরে আকলিমার খালা তাকে দুধ গরম করে দিতে বলে। তার খালার কথা মতে তাকে দুধ গরম করে খেতে দেন। দুধ খাওয়ার পরে বাবুল অচেতন হয়ে যায়। পরে তার খালার পরামর্শে আকলিমা বেগম ফল কাটা চাকু দিয়ে বাবুল ফকিরকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গোপনাঙ্গ কর্তন করেন। এসময় বাবুল চিৎকার দিয়ে বাহিরে এসে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে আহত বাবুল ফকির কিছুটা সুস্থ হলে গত বৃহস্পতিবার নিজে বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব সাহা বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আজ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সাথে এই মামলার বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।