Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

আনারসের ভালো ফলনেও চিন্তায় কৃষক

Icon

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৬

আনারসের ভালো ফলনেও চিন্তায় কৃষক

ভালো ফলন হওয়ার পরও হিমাগার না থাকায় চিন্তায় কৃষক। ছবি: প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চায়ের পরেই রয়েছে আনারসের খ্যাতি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সারা বছর কমবেশি আনারস পৌঁছে যায়। এবার আনারসের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে চাষি ও কৃষি বিভাগ। তবে ভালো ফলন হওয়ার পরও হিমাগার না থাকায় চিন্তায় কৃষক। 

দেশে মূলত সিলেট, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক আনারস চাষ হয়। শ্রীমঙ্গলে উৎপাদিত আনারসের বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। রসে ভরপুর সুস্বাদু শ্রীমঙ্গলের আনারসের চাহিদা রয়েছে । 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, পাহাড়ি উঁচু-নিচু টিলায় ষাটের দশক থেকে আনারস চাষ শুরু হয়। এখানকার উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু আনারস চাষের জন্য খুবই উপযোগী। উপজেলার মোহাজেরাবাদ, বিষামণি, হোসেনাবাদ, বালিশিরা, ডলুছড়া, সাতগাঁও, নন্দরানী ও মাইজদীর পাহাড়ি এলাকার প্রায় ৩১০ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ হয়েছে। 

বেগুনবাড়ী আনারস বাগান মালিক ইরেশ পাল জানান, আগাম বৃষ্টি হওয়াতে এবার আনারসের ফলন খুব ভালো হয়েছে। তবে আনারস সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় পচনশীল এ ফল যখন একসঙ্গে পাকতে শুরু করে তখন কৃষকদের নামমাত্র মূল্যে ফল বিক্রি করে দিতে হয়। এছাড়াও অনেক আনারস পচে নষ্ট হয়। আনারস সংরক্ষণের জন্য শ্রীমঙ্গলে একটি হিমাগার স্থাপন জরুরি। 

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উজ্জ্বল সূত্রধর জানান, শ্রীমঙ্গলে এবার ৩১০ হেক্টর জমিতে হানি কুইন ও জায়ান্ট কিউ দুই ধরনের আনারসের চাষ বেশি হয়েছে। তবে অনেক কৃষক অভিযোগ করেছেন আনারস পচে নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আনারস সংরক্ষণের জন্য শ্রীমঙ্গলে একটি হিমাগার স্থাপন জরুরি। শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে হিমাগার স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫