
বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে খাদ্য সংকটে মানুষ মারা যায়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সারসহ কৃষি পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। সার সংকটে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তখন চাষের জন্য সার পাওয়া যেত না। সার সংকট নিয়ে আন্দোলন করায় বিএনপির আমলে আন্দোলনরত ১৯ কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।’
‘গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের মেয়াদ কালে কোন খাদ্য সংকট হয়নি। না খেয়ে কোন মানুষ মারা যায়নি। বর্তমান সরকার সারের দাম কমিয়েছে। গত ১৪ বছরে সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে বলেই দেশে আজ কোন খাদ্য সংকট নেই। খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই। ধান, সবজি, তেলসহ কৃষি খাতের প্রতিটি সেক্টরে উৎপাদন বেড়েছে। দানা জাতীয় খাদ্যের উৎপাদন বেড়েছে। ২০০৮ সালে ৫ থেকে ৬ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হত, এখন দেশে ৬০ লাখ টন ভুট্টা হয়। ৪ কোটি ৩০ লাখ টন ধান, গম উৎপাদন হয়। আগে সবজি উৎপাদন হতো ৩০ লাখ টন, চৌদ্দ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ টন। এটা অবিশ্বাস্য! আগের পার্বত্য এলাকায় আম, আনারস উৎপাদন হতো না । এখন পার্বত্য এলাকায় প্রচুর ফল উৎপাদন হচ্ছে।’
আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খাগড়াছড়িতে ভাইবোন ছড়া মিলেনিয়াম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন ও কৃষক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে কফি, কাজুবাদাম চাষ সম্প্রসারণের উৎপাদন বাড়িয়ে মিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। ভবিষ্যতে কাজুবাদাম আর আমদানি করতে হবে না বরং আমরা রপ্তানি করব। পার্বত্য এলাকায় উৎপাদিত কফি ও কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে ।
আগামী বর্ষা মৌসুমে তিন পার্বত্য জেলায় ২০ লাখ কাজুবাদামের পাশাপাশি কফি, গোল মরিচের চারা বিতরণ করা হবে জানান কৃষি মন্ত্রী।
কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে আয়োজিত কৃষি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।