
ছবি: কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়িতে শেষ হলো বাউল-সাধুদের মিলনমেলা ‘লালন স্মরণোৎসব’।
রীতি অনুযায়ী সোমবার (৯ মার্চ) তরকারি, সাদা ভাত আর দই মিষ্টি দিয়ে পূর্ণ সেবা নিয়ে বাউল ফকিররা ফিরতে শুরু করেছেন যার যার গন্তব্যে।
বিদায়ের আগে সাঁইজির ধামের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
লালন সাধক জহির শাহ জানালেন, লালনের এ ধামে আসলেই মনের সকল কলুষতা দূর হয়। তাই আবারো এখানে আসবেন তিনি।
ফকির হৃদয় শাহ জানান, সাঁইজির ধামে বছরে দুটি অনুষ্ঠানে নয়, পার্থিব জীবনে এই মর্মবাণী উপলব্ধি করতে হবে সবাইকে। আয়োজনে যোগ দেয়ার জন্য বাউলদের কোনো চিঠি দেয়া হয় না, জানানো হয় না নিমন্ত্রণ। তারপরও এক অদৃশ্য সুতার টানে এরা দলে দলে ছুটে আসেন এ বাউল ধামে। প্রাপ্তি যাই হোক না কেন নিজেকে শুধরিয়ে আত্মশুদ্ধি অর্জন করায় তাদের মূল উদ্দেশ্য।
তবে অনেকে আবার লালনের মূল আদর্শের তত্ত্ব মেনে বাউল ভক্তদের আনুষ্ঠানিকতা পালনের আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, লালন সাধকরা বিশ্বাস করেন তাদের সবকিছুর অনুপ্রেরণা গুরু। গুরুকে ভজে পরমাত্মার সন্ধান করে ফিরি। সেই গুরুকে ভক্তি জানিয়ে বিদায় নেন শিষ্যরা।
লালন মাজারের প্রধান খাদেম মোহাম্মদ আলী শাহ বলেন, স্মরণোৎসবে যোগ দিয়ে ধন্য হয়েছেন বাউলরা। সাঁইজির আখড়াবাড়িতে ইতোমধ্যে সাধুরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন।
গত রবিবার লালন একাডেমি ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শুরু হয় লালন স্মরণোৎসব ও গ্রামীণ মেলা।