ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের গুলি, নিহত এক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪১

প্রতীকী ছবি
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই গ্রামবাসীর সংর্ঘষে ফয়সাল (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কালিকচ্ছ বাজারে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নিহত ফয়সাল উপজেলার কুট্রাপাড়ার রাকিব মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবারের দাবি, ফয়সাল পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি, দুইপক্ষের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ হলে স্প্রিন্টারের আঘাতে সে নিহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের ইকবালের চৌকিদারের ছেলে অটোরিকশা চালক আকাশ রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এসময় ধরন্তী মূলবর্গ গ্রামের হুমায়ন মেম্বারের ছেলে তোফাজ্জলের মোটরসাইকেলে তার ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার দুপুরে তোফাজ্জলের লোকজন কালিকচ্ছ বাজারে আকাশের উপর আবারও হামলা চালায়। এতে গুরুত্বর আহত হয় আকাশ।
এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর কালিকচ্ছ বাজারে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় বাজারের কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। পরে খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে রাকিব নামের এক যুবকে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত রাকিবের মা হালিমা খাতুন দাবি করেন, আমার ছেলে পুলিশের ছুড়া গুলিতে মারা গেছে।
নিহত রাকিবের মামা ওসমান বলেন, রাকিবের বাড়ি কুট্রাপাড়ায় হলেও আমাদের দোকানে থাকতেন। আজ ঝগড়া শুরুর পর দোকানের তালা লাগাচ্ছিলাম আমরা। এসময় পুলিশ এসে আমার ভাগ্নে রাকিবের উপর গুলি করে। তাকে কেন গুলি করা হলো? আমরা তো ঝগড়ার সাথে জড়িতও না? আমরা এর বিচার চাই।
এই ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, সংঘর্ষে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। ককটেলের স্প্রিন্টারের আঘাতে যুবক নিহত হয়েছে৷ সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী সংর্ঘষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।