সাংগ্রাই জলোৎসবে সাঙ্গ হলো বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৪৮
-643bb6672dd37.jpg)
মারমাদের সাংগ্রাই জলোৎসব। ছবি: রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলায় বর্ষবিদায় ও বরণের যে আয়োজন; সেটির আনুষ্ঠানিক সাঙ্গ হয়েছে সাংগ্রাই জলোৎসবের মধ্য দিয়ে।
আজ রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়ায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো সাংগ্রাই উৎসব। এই উৎসবে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মারমা জনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা অংশগ্রহণ করতে এসেছেন।
এছাড়া পাহাড়ের প্রধান এই সামাজিক উৎসবের সাঙ্গ অনুষ্ঠানে আগমন ঘটেছে হাজারো মানুষের। মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস) আয়োজিত এবারের সাংগ্রাই জলোৎসবের স্লোগান হচ্ছে- পার্বত্য অঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সংস্কৃতি বিকাশে এগিয়ে আসুন।
এই উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ বাংলাদেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই সারাদেশে ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারছেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মাসস সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসাকা আয়শা খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কাপ্তাই জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. নূরউল্লাহ জুয়েল প্রমুখ।
এদিন সকালে জলোৎসবের আলোচনা সভা শেষে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী মং ঘণ্টা বাজিয়ে জল উৎসব উদ্বোধন করেন অতিথিরা। পরে অতিথিরা জল ছিটিয়ে সাংগ্রাই জলোৎসবের উদ্বোধন করেন।
এসময় মারমা যুবক-যুবতীরা একে-অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করেন। মূলত এই আয়োজনের মধ্যদিয়েই তিন পার্বত্য জেলায় বিজু, বৈসু, সাংগ্রাই, বিহু, বিষু, সাংক্রান উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। তবে স্থানীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির পর বিভিন্ন গ্রামে সাংগ্রাই জলোৎসব উদযাপন হয়ে থাকে।