Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

বান্দরবানে দিনভর গোলাগুলি-আতঙ্ক

Icon

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৪১

বান্দরবানে দিনভর গোলাগুলি-আতঙ্ক

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় একটি পাহাড়ি পড়া। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের রুমা উপজেলার মুয়ালপি পাড়ায় আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ভোর থেকে দিনভর দুটি সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে রুমা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মনির হোসেন বলেন, ভোর ৪টা থেকে মুয়ালপি পাড়ায় ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক ও কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএফ) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে বলে জানতে পেরেছি।

তিনি বলেন, থেমে থেমে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই গোলাগুলি হয়েছে। এরপর আর গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি। মনে হয়, আপাতত বন্ধ আছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুয়ালপি পাড়ায় মূলত মারমা ও বম সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। এখানে ৫০টির মতো মারমা পরিবার এবং ৮০টির মতো বম পরিবার বাসবাস করে।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের পাহাড়ি এই গ্রামে পৌঁছাতে হেঁটে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে।

গত বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে এই পাড়া থেকে ৪৯টি মারমা পরিবার বাড়ি থেকে এসে রুমা উপজেলা সদরে মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে আশ্রয় নেয়।

তখন পাড়াবাসী জানিয়েছিলেন, তাদের পাড়া থেকে দুজনকে কেএনএফ (যা স্থানীয়দের কাছে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত) ধরে নিয়ে যায় এবং নির্যাতন করে। পরে পাড়াবাসীর অনুরোধে ছেড়ে দেওয়া হলেও ১৮ এপ্রিল আবার ধরে নিয়ে যায়।

এ নিয়ে ১৯ এপ্রিল রুমা বাজারে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হলে মুয়ালপি পাড়াবাসীদের প্রাণনাশে হুমকি দিতে থাকে। ঘরে ঘরে ঢুকে দরজায় আঘাত করে। ভয়ে সবাই পালিয়ে যায়। এর মধ্যে সেখানে দুই সশস্ত্র সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।

পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উহ্লা মং মারমা মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, আমিও গোলাগুলির ঘটনা শুনেছি। তবে সেখানে তো অনেকেই আছে। কাদের কাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে সেটা জানি না। এলাকার অনেকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাচ্ছি। ভয়ে হয়তো তারা পাড়া থেকে চলে গেছে। কোথায় গেছে আমি তাও জানি না।

গত বছরের অক্টোবর থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় কেএনএফ এবং নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার হিল ফিন্দাল শারক্বীয়া’র বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব। কখনও কখনও তাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।

প্রসঙ্গত, গত মার্চের শুরুর দিকে অভিযানের মধ্যে ‘আতঙ্কে’ রুমা ও আশপাশের এলাকা থেকে ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষ সীমান্ত পার হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। অন্তত ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সে সময় বন্ধ হয়ে যায়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫