লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গুলি করে হত্যা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১১:১৮

আবদুল্লাহ আল নোমান ও রাকিব ইমাম। ছবি: লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল নোমানসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নোমান জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছোট ভাই এবং অপর জন রাকিব ইমাম ওই ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
নোমানের বড় ভাই চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান জানান, নোমান লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম জিহাদি ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার ঘটনা ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে তার ভাইকে হত্যা করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে নোমান ও রাকিব বশিকপুরের পোদ্দার বাজারে অবস্থান করছিলেন। এসময় নোমানকে ফোনে জরুরি প্রয়োজনে দেখা করার জন্য ডেকে নেয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম জিহাদীর অনুসারী তারেক আজিজ। পরে তারা মোটরসাইকেলে করে বাজারের পশ্চিম মাথায় গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে নোমান লাফিয়ে পড়লে দুবৃর্ত্তরা তার মাথায় ঠেকিয়ে একাধিক গুলি করে। এসময় গলা-হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব। পরে স্থানীয়রা তাদের দুজনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠান।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে খুনিদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই নোমানের মৃত্যু হয়েছে। অপরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, বশিকপুরের পোদ্দার বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। অপরজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।