কুষ্টিয়ায় পৃথক এলাকায় অ্যালকোহল পান করে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছে আরও কয়েকজন। 

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পঞ্চম ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এর আগে কুষ্টিয়া ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান চারজন। 

এই নিয়ে কুষ্টিয়ায় অ্যালকোহল পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো পাঁচজনে। এছাড়া অ্যালকোহল পানে আরো কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেই সাথে নতুন করেও অ্যালকোহল পানে অসুস্থ্য হওয়ার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।  

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার রকিবুল আলমের ছেলে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সিফাত (২৭), মিরপুর উপজেলার মশান বারুইপাড়া এলাকার হানিফের ছেলে রতন (২১), তার প্রতিবেশি খলিলের ছেলে সবুজ (২৪), ইদ্রিস আলীর ছেলে শাহানুর (২৩) ও সদর উপজেলার আইলচারা এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে শাহিন (৪৭)।

জানা যায়, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এবং পোড়াদহ এলাকা থেকে রবিবার রাতে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করে আটজন অসুস্থ হয়ে রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়।

নিহত রতন এবং সবুজের পরিবারের দাবি, রবিবার রাতে পোড়াদহ থেকে অ্যালকোহল কিনে নিয়ে এসে একই পাড়ার সাত-আটজন একসঙ্গে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

গত সোমবার (২৪ এপ্রিল) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন মারা যান। 

স্থানীয় বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মাসুম বিশ্বাস জানান, সকালে শাহানুরকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। পরে সন্ধ্যায় সে মারা যান। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, রবিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে এসে কয়েকজন ভর্তি হয়। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তিনজন মারা যান। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে মারা যায় সবুজ। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয় শাহানুরকে। পরে সন্ধ্যায় সে মারা যান।