ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:১১

প্রতীকী ছবি
বরগুনার পাথরঘাটার আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার খানের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে গত রবিবার (২৩ এপ্রিল) ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর মেয়েকে আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করি। নবম শ্রেণিতে ওঠার পর ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার নানা কৌশলে আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। গত ১৩ মার্চ স্কুলে শিক্ষা সফরের কথা বলে আমার মেয়েকে বরিশালে নিয়ে দোয়েল আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপনও করেন। বরিশাল থেকে ফেরার পর মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা দেখে তার কাছে জানতে চাইলে মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলেন। সম্মান রক্ষায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বারকে আমার মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি বাল্যবিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে বিচার চেয়ে অভিযোগ করেছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম রেজা বলেন, এ ধরনের জঘন্য কাজ যারা করেন তারা দুষ্ট প্রকৃতির। এদের কারণেই শিক্ষক সমাজের মান ক্ষুণ্ণ হয়। ঘটনা যদি সত্য হয় তবে এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বুধবার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভা করা হয়েছে। ওই সভায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার খানকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ওই ছাত্রী ও তার অভিভাবক আমার কাছে এসে ঘটনা জানিয়েছে। ঘটনা শুনে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে আইনি পরামর্শের জন্য থানায় যেতেও বলা হয়েছে।