Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

ট্রলারে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আরো ৩ জন আটক

Icon

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৫১

ট্রলারে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আরো ৩ জন আটক

লাশ উদ্ধার হওয়া ট্রলার। ছবি: কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব। এ নিয়ে  পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আদালতের আদেশে দুই আসামি পাঁচ দিন করে রিমান্ডে রয়েছেন। একই সঙ্গে গত মঙ্গলবার রাতে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোমের খাল থেকে উদ্ধার হওয়া মানুষের কঙ্কালটি নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে একজনের বলে ধারণা করছে পুলিশ।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে প্রযুক্তিগত সহায়তায় ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন মুনির নামের ৩২ বছরের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মুনির বদরখালী এলাকায় মো. নুর নবীর ছেলে। তাকে ইতোমধ্যে আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনায় সন্দেহজনক দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে র‍্যাব।

পুলিশ সুপার বলেন, বাঁশখালীর কুদুকখালী থেকে আটক করে এ দুজনকে সোপর্দ করা হয়েছে। এদেরও গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। 

গ্রেপ্তার ওই দুজন হলেন, বাঁশখালীর কুদুকখালী ফজল কাদের মাঝি ও শামসুল আবু তৈয়ব মাঝি।

পুলিশ সুপার জানান, মঙ্গলবার রাতে মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোমের খাল থেকে মানুষের একটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। কঙ্কালটি এ ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের একজনের বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১০ জনের পাশাপাশি এই কঙ্কালের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ইতোমধ্যে ১০ মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ সুপার বলেন, নিহতদের কারও শরীরে গুলি বা অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফলে এদের হাত-পা বেঁধে হিমঘরে আটকে হত্যার বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার।

তিনি জানান, আদালতের আদেশে মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মাতারবাড়ী এলাকার ট্রলারমালিক বাইট্টা কামাল ও ৪ নম্বর আসামি ট্রলারের মাঝি করিম সিকদার রিমান্ডে রয়েছে। এদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। এর সূত্র ধরে চলছে তদন্ত।

পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকটি উৎসকে সামনে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মাহফুজুল বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা সম্ভব হতে পারে।

গত রবিবার গুরা মিয়া নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ট্রলার সাগরে ভাসমান থাকা ট্রলারটি নাজিরারটেক উপকূলে নিয়ে আসে। আর ওই ট্রলারের হিমঘরে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ট্রলারের মালিক মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের হরিয়ারছড়া এলাকার ছনখোলাপাড়ার সামশুল আলম প্রকাশ সামশু মাঝি। যার মরদেহ গ্রহণ করেছেন তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম। মামলার বাদীও তিনি। 

রোকেয়া বেগমও স্বীকার করেছেন ট্রলারটির মালিক তার স্বামী।

ইতোমধ্যে উদ্ধার হওয়া ছয়জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করলেও মর্গে রয়ে গেছে চারজনের মরদেহ ও একটি কঙ্কাল। ডিএনএ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে তাদের পরিচয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫