পিস্তল হাতে মৎস্যজীবী লীগ নেতার ছবি ভাইরাল

ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৫১

পিস্তল হাতে ফরিদপুর জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান ওরফে পরশ সিকদার (৩৫)। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরে এবার পিস্তল হাতে এক মৎস্যজীবী লীগ নেতার ছবি ভাইরাল হয়েছে। ওই নেতার নাম আসাদুজ্জামান ওরফে পরশ সিকদার (৩৫)। তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
এর আগে ফরিদপুরের দুই ছাত্রলীগ নেতা কোমরে পিস্তল গুজে এবং অস্ত্রসহ টিকটক ভিডিও করে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। এ রেশ না কাটতেই এবার আলোচনায় এলেন মৎস্যজীবী লীগ নেতা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে এক সাংবাদিকের ফেসবুক আইডিতে পিস্তল হাতে আসাদুজ্জামানের দু’টি ছবি পোস্ট করা হয়। এর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায়, সামনের দিকে তাক করা অবস্থায় পিস্তলটি ধরে পোজ দিচ্ছেন । আরেকটি ছবিতে দেখা গেছে, গভীর মনোযোগ দিয়ে পিস্তলটি দেখছেন তিনি।
ছবি দুটি নিজের স্বীকার করে আসাদুজ্জামান জানান, ওই ছবি পাঁচ বছর আগে ঢাকার একটি অস্ত্রের শোরুম থেকে তোলা। ছবি তুলেছিলেন বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীকুল মীরদাহর ভাগনে পৌর যুবলীগের সদস্য মিনহাজুল আবেদীন ওরফে চয়ন।
তিনি বলেন, মিনহাজুল একটি এয়ারগান কিনতে অস্ত্রের ওই শোরুমে গিয়েছিলেন। সেখানে পিস্তলটি দেখে মিনহাজুল হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করেন। পরে আমিও নেড়ে দেখি। এ অবস্থায় মিনহাজুল ওই ছবি দুটি তোলেন।
আসাদুজ্জামান আরও জানান, বোয়ালমারীর আওয়ামী রাজনীতিতে তিনি এতদিন মিনহাজুলের মামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিকুল মীরদাহর সমর্থক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি তার সঙ্গ ত্যাগ করে সরাসরি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমানের অনুসারী হন। এতে পিকুল মীরদাহ তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে পাঁচ বছর আগে তোলা ছবি প্রতিহিংসাবশত তার ভাগনেকে দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করিয়েছেন তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে।
এসব অভিযোগের অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে মিনহাজুল বলেন, ছবি দুটি ঢাকায় একটি অস্ত্রের শোরুমে তোলা। এ সময় ছবি দু'টি আসাদুজ্জামানের ম্যাসেঞ্জারসহ পরিচিত কয়েকজনকে দিয়েছিলাম। এরপর নতুন করে আর কাউকে দেইনি। কেউ হয়তো ম্যাসেঞ্জারে থাকা পুরনো ছবিই ফেসবুকে ছেড়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিকুল মৃধা বলেন, রাজনীতির কারণে সম্পর্কের অবনতি ঘটার প্রশ্নটি এখানে অবান্তর। এক সাংবাদিক তার (আসাদুজ্জামান) হাতে অস্ত্রসহ ছবিগুলো পোস্ট করেছেন। এর ব্যাখ্যা তাকেই দিতে হবে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি দুটি দেখেছি। দেখে বোঝা যাচ্ছে, ছবিটি কোনো অস্ত্রের দোকান থেকে তোলা। যিনি ছবিটি ভাইরাল করেছেন তিনি কাজটি ঠিক করেননি। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।